পালং শাককে সুপার ফুড বলা হয় কেন?

ছোটবেলায় টিভিতে কার্টুন ছবি পাপাই দেখেছেন নিশ্চয়ই? পাপাই নামের এক নাবিককে দেখা যেত দুষ্টুদের শায়েস্তা করতে কৌটায় থাকা পালং শাক খেয়ে শক্তিশালী হয়ে উঠতো। বাস্তবে ব্যাপারটা ঠিক তেমন না হলেও এই শাক কিন্তু অনেক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। এক কাপ পালং শাকে ২৫০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে, যা হাড় ও দাঁত মজবুত রাখতে সহায়ক। পালং শাক থেকে বেশি ক্যালসিয়াম পেতে এই শাকের সাথে ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা।


  • পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে জিয়াজ্যানথিন ও কারোটিনয়েড থাকে যা শরীর থেকে ক্যানসার সৃষ্টিকারী ফ্রি রেডিক্যাল দূর করে দেয়। পাকস্থলীর ক্যানসার, মুখের ক্যানসারসহ বেশ কিছু ক্যানসার দূর করতে সহায়ক পালং শাক।
  • পালং শাকে প্রচুর পটাশিয়াম থাকে, যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়ক।
  • পালং শাকে ভিটামিন কে এবং ক্যালসিয়াম যা হাড় মজবুত রাখে।
  • এই শাকে আঁশ থাকে অনেক যা হজমে সহায়ক ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। এছাড়া এই শাক খাওয়ার পর ক্ষুধা কমে বলে পরে বেশি খাওয়ার প্রবণতা দূর হয়। এর ফলে  শরীরের ওজন কমে।
  • পালং শাকে লুটেইন ও জিয়াজেনথিন নামের যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে তা চোখের জন্য বেশ উপকারী। এই শাকে থাকা ভিটামিন এ চোখ ভালো রাখে। চোখে ছানি পড়া, বয়সের কারণে দৃষ্টি স্বল্পতার মতো চোখের বেশ কিছু সমস্যাও দূর করে এই শাক।
  • হাইপার টেনশনের কারণে নানা ধরণের হৃদরোগ, কিডনি জটিলতা, স্ট্রোক হওয়ার আশংকা থাকে। এই শাকে থাকা ভিটামিন সি হাইপার টেনশন কমায়। পালং শাক মানসিক চাপ ও হতাশা কমায়, মন শান্ত রাখে।
  • পালং শাকে নিওজেনথিন ও ভায়োলাজেনথিন নামের উপাদান দুটি হাড়ের ব্যথা, মাইগ্রেনসহ মাথাব্যথা দূর করে।
  • এই শাকে প্রচুর জিংক ও ম্যাগনেসিয়াম আছে যা অনিদ্রার সমস্যা দূর করে।
  • পালং শাকে থাকা ভিটামিন সি এবং এ দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়া পালং শাক হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ করে, রক্তস্বল্পতা দূর করে, ব্রণ দূর করে,ত্বক ভালো রাখে ও বয়সের ছাপ কমায়।

তথ্যসূত্র: ফার্মইজি ডট ইন