নারীর সম্মানহানি হয় এমন কথা বলছেন না তো?

যুগের পর যুগ শুনে শুনে আমাদের মস্তিষ্কে এমন কিছু কথা গেঁথে গেছে, যে কথাগুলো একজন নারীর জন্য ভীষণ অসম্মানের। অথচ মনের অজান্তে কিংবা কৌতুক করে এসব কথা আমরা প্রায়ই হয়তো বলে ফেলি। নারীকে দুর্বল এবং পুরুষকে সবল প্রমাণ করার জন্য বহু বছর ধরে চলতে থাকা এসব ‘স্বাভাবিক’ কথার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করতে পারেন এই নারী দিবসে। লিঙ্গবৈষম্য দূর করতে আপনার খানিকটা সচেতনতা কিন্তু প্রভাবিত করবে আপনার আশপাশের আরও মানুষকে। এই নারী দিবসে প্রতিজ্ঞা করতে পারেন এসব কথা আর না বলার জন্য। কথাগুলো কী কী?

 

তুমি ‘মেয়েলি’
পুরুষকে উপহাস করতে এই ধরনের কথা প্রচলিত আমাদের সমাজে। নারীকে কোমল হৃদয়ের ও আবেগসর্বস্ব মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় পুরুষতান্ত্রিক সমাজ।

মেয়েদের মতো চুড়ি পরে বসে থাকো 
পুরুষকে তিরস্কার করতে গিয়ে এ ধরনের আপত্তিকর কথা বলে ফেলেন অনেকেই। এমনকি অনেক নারীও এ ধরনের কথা বলে পুরুষকে অপমান করতে চান। অথচ এই কথা বরং একজন নারীরই সম্মানহানি করে।

মেয়েদের মতো কাঁদার অভ্যাস কেন?  
কান্না সবসময়ই কষ্টদায়ক। যে কেউই কাঁদতে পারে। মেয়েদের মতো কাঁদার অভ্যাস বলে কিছু নেই। অথচ আমাদের সমাজে এ ধরনের কথা বেশ প্রচলিত।

ছেলেদের কাঁদতে নেই
যেকোনো মানুষই দুঃখ, কষ্ট কিংবা অভিমানে কাঁদতে পারে। এখানে নারী হলে কাঁদা যাবে, পুরুষ হলে কাঁদা যাবে না- এমন কোনও বিষয় নেই।