দেশেই মানসম্মত প্রসাধনী তৈরি করবে ‘রিমার্ক’


মানসম্মত কসমেটিকস পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মুন্সীগঞ্জে পরিপূর্ণ কসমেটিকস ইন্ডাস্ট্রি ও স্কিন গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করছে রিমার্ক এইচ বি লিমিটেড। ইউরোপ ও আমেরিকার বহুল প্রচলিত কসমেটিকস পণ্যগুলো গবেষণার মাধ্যমে বাংলাদেশের আবহাওয়া, মানুষের স্কিনের ধরন ও চাহিদা অনুযায়ী প্রস্তুত করা হচ্ছে। মেকআপ আর্টিস্ট এবং ট্রেইনার সালেহা সারওয়ার বলেন, ‘দেশীয় বাজারে মানহীন কসমেটিকস পণ্যের ছড়াছড়ি। বাংলাদেশে কালার কসমেটিক্সের এত চাহিদা থাকা সত্ত্বেও কোনও মানসম্মত পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এখানে নেই, যা সত্যিই খুব দুঃখের বিষয়। মূলত দেশীয় বাজারে মানহীন কসমেটিকস পণ্যের কারণে ভোক্তারা প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছেন, অন্যদিকে আমদানি নির্ভর এই শিল্পে বছরের পর বছর ধরে চলছে শুল্প কর ফাঁকি দেওয়ার মহোৎসব, যাতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে দেশের সরকার ও জনগণ। এ প্রেক্ষাপট বিবেচনায় রিমার্কের এই উদ্যোগ সত্যি প্রশংসার দাবীদার।’

রিমার্ক এইচ বি লিমিটেডের হেড অব কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স শরীফ মোহাম্মদ আলী সুমন জানান, প্রতি বছর দেশে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার কসমেটিকস পণ্য আমদানি করা হয়।রিমার্কের এই উদ্যোগের ফলে আমদানি নির্ভর এই শিল্পটি একটি রপ্তানিযোগ্য শিল্প খাতে রুপান্তরিত হচ্ছে যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটি বড় অবদান রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলায় একশ একর অকৃষিযোগ্য পরিত্যক্ত জমিকে পরিবেশবান্ধব শিল্পায়নের উপযোগী করে ব্যবহারের মাধ্যমে পরিকল্পিত কারখানা নির্মাণের প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে এখানে সরাসরি কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে প্রায় ১৫ হাজার কর্মী। এছাড়াও পরোক্ষভাবে প্রায় দেড় লক্ষ মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে সক্ষম হবে প্রতিষ্ঠানটি।

কারখানায় ৪০টি ব্যান্ডের কালার কসমেটিকস, স্কিন কেয়ার, হোম কেয়ার ও পারসোনাল কেয়ারের প্রায় ৪০০-৫০০ পণ্য উৎপাদনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। কসমেটিক পণ্যের পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব প্যাকেজিং কম্পোন্যান্ট নিয়েও প্রতিষ্ঠানটি চালাচ্ছে ব্যাপক গবেষণা।

রিমার্ক এইচ বি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল আম্বিয়া বলেন, ‘আমরা পরিবেশবান্ধব গ্রিন ইন্ডাস্ট্রি তৈরির লক্ষ্যে সব ধরনের মানদণ্ড অব্যাহত রেখে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী দ্রুত শিল্পায়ন ও নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়নের যে স্বপ্ন দেখেছেন, তা বাস্তবায়ন করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।’