একশনএইড বাংলাদেশের দুই দিনব্যাপী উৎসব অনুষ্ঠিত

‘রেজিলিয়েন্স উৎসব: পৃথিবী, মানুষ এবং সম্ভাবনা’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী উৎসবের আয়োজন করেছিলো একশনএইড বাংলাদেশ (এএবি)। প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও দেশের মানুষের অপ্রতিরোধ্য মানসিকতা এবং বাংলাদেশের গৌরবময় ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও আচার-অনুষ্ঠান এই উৎসবের মধ্য দিয়ে তুলে ধরা হয়।

দেশের মানুষের সকল প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে সংগ্রাম ও জেগে ওঠার শক্তিকে ঘিরে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনের লক্ষ্য ছিল বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার গল্পগুলো তুলে ধরা ও মানুষকে উৎসাহিত করা। গুলশানে অবস্থিত নাভিদ’স কমেডি ক্লাবে এই উৎসব উদযাপিত হয়।

বিগত কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশের মানুষ জলবায়ু ও মানব-সৃষ্ট বিপর্যয়, বৈষম্য, অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা, শরণার্থী সংকট ও বৈশ্বিক মহামারিসহ অসংখ্য চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। কিন্তু প্রতিবারই মানুষ নতুন উদ্যমে পুনরুজ্জীবিত হয়েছে এবং অপ্রতিরোধ্য গতিতে সামনে এগিয়ে গিয়েছে। এর
সাম্প্রতিক উদাহরণ হচ্ছে গত দুই বছরে দেশে কোভিড-১৯ মহামারির প্রকোপ। করোনা মহামারি সংকটের সময় দেশের জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টা অনিশ্চয়তা ও হতাশার মধ্যেও মানুষকে আশাবাদী ও প্রাণোচ্ছল থাকতে সাহায্য করেছে।

দেশের মানুষের এই সহজাত প্রবৃত্তি এবং অপ্রতিরোধ্য মানসিকতা উদযাপনের দাবি রাখে। আর তাই একশনএইড বাংলাদেশ এই উৎসবের আয়োজন করেছে। বিস্তৃত কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে এই উৎসব দেশের মানুষ, তাদের শক্তি, আনন্দ ও সংহতি উদযাপনে সাহায্য করবে।

উৎসবের প্রথম দিন একশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ্ কবির এবং বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ড. মালেকা বানুসহ আরও অনেকে ‘মাল্টি-ডাইমেনশনাল পারস্পেক্টিভ অব রেজিলিয়েন্স’ শীর্ষক সংলাপে অংশ নেন। উৎসবের দ্বিতীয় দিনে একশনএইড বাংলাদেশের অ্যাক্টিভিস্টা নেটওয়ার্কের তরুণদের অংশগ্রহণে ফ্ল্যাশ মব পরিবেশিত হয়।

একশনএইড বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ্ কবির বলেন, 'আমাদের সম্প্রদায়ের স্থিতিস্থাপকতার বিভিন্ন গল্প তুলে ধরতে, সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করতে এবং বিশেষ করে তৃণমূলস্তরের মানুষের সাহসী গল্পগুলো ভাগ করার সুযোগ দেওয়ার জন্য আমরা প্রথমবারের মতো এই উৎসবটির আয়োজন করেছি। পৃথিবী, মানুষ এবং সম্ভাবনা- এই উৎসবের থিম সকলের জন্য একটি অনুস্মারক যে আমরা চাইলে একটি ভিন্ন পৃথিবী সম্ভব।'