বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরে যাবেন?

প্রবেশ পথ দিয়ে ঢুকতেই চোখে পড়বে চমৎকার ঝরনার খেলা। দেশের গানের সঙ্গে পানির এই খেলা আপনাকে মুগ্ধ করবেই। মূল ভবনের ভেতরে ঢোকার পর আপনি হারিয়ে যাবেন ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে। কোথাও সাহসী সেনার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ আপনাকে বিস্মিত করবে, কোথাও আবার তাদের অর্জন করবে গর্বিত।

 

বলছি বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরের কথা। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর বিভিন্ন অর্জন ও গৌরবময় ইতিহাসের সাক্ষী হতে চাইলে ঘুরে আসতে পারেন বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর থেকে। শিশুদের জন্যও বেশ শিক্ষণীয় স্থান হতে পারে জাদুঘরটি।

 

 

বঙ্গবন্ধু নভো থিয়েটারের পশ্চিম পাশে ১০ একর জমির উপর নির্মিত হয়েছে এই জাদুঘর। যেখানে স্বাধীনতার পূর্বাপর সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন সরঞ্জাম উপস্থাপন করা হয়েছে।

সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী গ্যালারির পাশাপাশি জাতিসংঘ শান্তি মিশন গ্যালারি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিরক্ষা গ্যালারি রয়েছে এখানে। ঔপনিবেশিক যুগ, মধ্যযুগ, বাংলার সামরিক ঐতিহ্য, বাঙালির জনযুদ্ধের ইতিহাসসহ নানা ইতিহাস জানা যাবে এখান থেকে।

 

আর্ট গ্যালারিসহ মাল্টিপারপাস এক্সিবিশন গ্যালারি, ব্রিফিং রুম, স্যুভেনির শপ, ফাস্ট এইড কর্নার, মুক্তমঞ্চ, থ্রিডি সিনেমা হল, মাল্টিপারপাস হল, সেমিনার হল, লাইব্রেরি, আর্কাইভ, ভাস্কর্য, ম্যুরাল, কফি শপ, আলোকোজ্জ্বল ঝর্ণা, ভার্চুয়াল অ্যাকুয়ারিয়ামের খোঁজ মিলবে এখানে।

 

বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরে যেতে চাইলে যেসব তথ্য জানা থাকা জরুরি-

সাপ্তাহিক বন্ধ: বুধবার। এছাড়া জাতীয় ছুটির দিনগুলোতে বন্ধ থাকে।
সকালের প্রদর্শনী: সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা। (শুক্রবার ও বুধবার বাদে)
বিকালের প্রদর্শনী: দুপুর ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা (বুধবার বাদে)

টিকিটের দাম: জনপ্রতি ১০০ টাকা। অনলাইনে টিকিট করে যাওয়া ভালো। এতে কম ঝক্কিতে কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন। অনলাইনে টিকিট না কিনলে সেক্ষেত্রে সময় কিছুটা বেশি লাগতে পারে।

অনলাইনে টিকিট কিনতে চাইলে https://bangabandhumilitarymuseum.com/visitor/registration এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।