মৌসুমি ঠান্ডা-সর্দি সামাল দিতে কী করবেন?

ঋতু বদলের এই সময়ে হুট করে গলা খুসখুস করা, সর্দি, কাশি ও ঠান্ডার মতো সমস্যাগুলো লেগেই থাকে। বিশেষ করে শিশুদের অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছে মৌসুমি সর্দি-কাশিতে। কীভাবে সামাল দেবেন এই পরিস্থিতি? পরামর্শ দিচ্ছেন বাংলাদেশ মাল্টিকেয়ার হাসপাতাল ও ইবনেসিনা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টারের ক্লিনিক্যাল ডায়াটিশিয়ান ও নিউট্রিশন কনসালটেন্ট ফাতেমা সিদ্দিকী ছন্দা। 

  

  • প্রতিদিন সকালে হালকা গরম পানির সাথে ১ চা চামচ খাঁটি মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন। মধুর অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে।

  • কালোজিরার গুঁড়া ১ চা চামচ মধুর সাথে মিশিয়ে সকাল ও বিকালে খেতে পারেন। এটা দারুণ কাজ করে।

  • তুলসী পাতার রস খেতে পারেন। ১ চা চামচ তুলসীর রস মধুর সাথে মিশিয়ে দুইবেলা খেলে অনেক সময় ওষুধ ছাড়াই ২/৩ দিনে সুস্থ হওয়া যায়।

  • আপনার খাদ্যাভ্যাস ঠিক আছে কিনা সেদিকেও খেয়াল রাখুন। তরলজাতীয় খাবার খান বেশি করে। যেমন গরম স্যুপ।

  • বিকালে মসলা চা বা আদা চা তুলসী পাতা দিয়ে খেলেও চমৎকার উপকার পাবেন।

  • প্রতিবেলার ভারি খাবারের পর অল্প পরিমাণে ভিটামিন সি যুক্ত ফল রাখুন। দিনে দুটি আমলকী খেতে পারেন।

  • গলা খুসখুসে আরাম পেতে সামান্য লবণ কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে দুইবেলা কুলকুচি করুন।

  • কোনও ভাবেই ডিহাইড্রেশনে ভোগা যাবে না। ঠান্ডা ও সর্দি লাগলে পানি খেতে ইচ্ছা করে না। এই ইচ্ছাকে গুরুত্ব দিলে সমস্যা আরও বাড়বে। বড় ও ছোট সবার বেলায় পানির পরিমাণ যেন ঠিক থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

 

পুষ্টিবিদ ফাতেমা সিদ্দিকী ছন্দা


শিশুদের ঠান্ডা-সর্দি সামাল দিতে করণীয়

  • শিশুদের জন্য মধু ও তুলসী পাতার রস বা মধু ও কালোজিরার গুঁড়া চমৎকার কাজ করে।

  • শিশুর বয়স দেড় বছর হয়ে গেলে ২/৩ চা চামচ করে চিনি ছাড়া আদা বা মসলা চা ২ বেলা দেওয়া যাবে।

  • চিকেন স্যুপ, ভেজিটেবল স্যুপ, কর্ন স্যুপ ও কুসুম গরম পানি খাওয়াতে পারেন শিশুকে।

  • রোদ ওঠার পর কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করিয়ে দিন শিশুকে। এতে বুকে জমে থাকা সর্দি দূর হবে। অনেকেই ভাবেন গোসল করালে সর্দি বাড়ে। এটি একেবারেই ভুল ধারণা। গোসল করালে নাক দিয়ে সর্দি বের হয়ে যায়। যেটাকে সর্দি বেড়ে গেছে ভেবে অনেকেই ভুল করেন।

  • নাকের ড্রপ ও সাসপেনশন বা ওরাল মেডিকেশন শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শে চালিয়ে যেতে হবে।