লিকুইড ফাউন্ডেশন ব্যবহারের আগে যা জানা জরুরি

জমকালো পার্টিতে যাওয়ার আগে কিংবা ছোটখাট কোনও নিমন্ত্রণে উপস্থিত থাকার জন্য ঘরেই একটু সেজে নিই আমরা। আর নিখুঁত ও উজ্জ্বল ত্বক পেতে লিকুইড ফাউন্ডেশন ব্যবহার করা চাই-ই। তবে মেকআপ হালকা হোক কিংবা চড়া, বেজ মেকআপ সঠিক না হলে ত্বকের সৌন্দর্য ফুটে ওঠে না ভালোভাবে। বাজারে নানা রকম ফাউন্ডেশন রয়েছে। বর্তমানে এটি ব্যবহারের আগে কিছু বিষয় জানা থাকা ভালো।

 

১। ফাউন্ডেশন ব্যবহারের আগে ত্বক পরিষ্কার করে নিন ভালো করে। ত্বক মুছে নিন চেপে চেপে।

২। এবার ত্বকে লাগান ময়েশ্চরাইজার। নাহলে রুক্ষ ত্বকে ঠিকঠাক বসবে না ফাউন্ডেশন। তবে খুব ভারি ময়েশ্চরাইজার লাগাবেন না।

৩। ময়েশ্চারাইজারের পর প্রাইমার লাগিয়ে নিন। ব্রণ বা ত্বকে অন্য কোনও দাগ থাকলে প্রাইমার সেটাকে ফিকে করে দেবে।

৪। এই পর্যায়ে লাগান ফাউন্ডেশন। পরিমাণ মতো ফাউন্ডেশন স্পঞ্জ দিয়ে ড্যাব করে নিন। ভালো করে ব্লেন্ড করবেন। স্পঞ্জ সামান্য পানি দিয়ে ভিজিয়ে তারপর ব্লেন্ড করবেন।

৫। ব্লেন্ড করার পর তা পুরোপুরি শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তা না হলে মেকআপ ভেসে উঠবে। ফাউন্ডেশন ব্লেন্ড হয়ে গেলে কিংবা ত্বকে পুরোপুরি বসে গেলে কনসিলার লাগিয়ে নিন।

ফাউন্ডেশন কেনার আগে মাথায় রাখবেন যেসব বিষয়

  • ফাউন্ডেশনের রঙ পরখ করুন দিনের আলোয়। ফাউন্ডেশন মুখে লাগালে ছাই ছাই লাগছে কিনা, বা মুখ ম্লান লাগছে কিনা তা সবচেয়ে ভালো বুঝতে পারবেন প্রাকৃতিক আলোয় বা দিনের আলোয় দেখলে।
  • ফাউন্ডেশনের শেড বোঝার জন্য সবসময় জ লাইনের উপরেই লাগান। কারণ এই অঞ্চলেই আপনার ত্বকের আন্ডারটোন সবচেয়ে ভালো দেখা যায়, ফলে আপনি চটপট বুঝতে পারবেন ফাউন্ডেশনের শেডটা আপনার ত্বকের সঙ্গে মানানসই কিনা।
  • তেলতেলে ত্বকের জন্য অয়েল-ফ্রি, হালকা, ম্যাট ফিনিশের ফাউন্ডেশন বেছে নিন। শুষ্ক ত্বক হলে বেছে নিতে হবে ভারি এবং হাইড্রেটিং ফর্মুলার ফাউন্ডেশন। স্পর্শকাতর ত্বক হলে বেছে নিন হাইপো-অ্যালার্জেনিক ফাউন্ডেশন, এড়িয়ে চলুন ভারি ধরনের ফর্মুলা।
  • এক এক ধরনের ফাউন্ডেশন এক একরকম ফিনিশিং দেয়। তাই আগে থেকে স্থির করে নিন আপনি ঠিক কেমন লুক চাইছেন এবং সেই অনুযায়ী বেছে নিন ফাউন্ডেশন। ম্যাট, সেমি-ম্যাট, ডিউয়ি এবং ইউলুমিনেটিং বা শিয়ার ফিনিশের ফাউন্ডেশন পাওয়া যায়।