ঘুমের ওষুধ ছাড়া ঘুম হয় না, করণীয় কী?

প্রশ্ন: আমি মোহাম্মদ লিটন। ছোট একটা মোবাইলের দোকান চালাই। আমি কিছু টাকা ঋণ করেছি। এই ঋণ পরিশোধ করার মতো অবস্থাও আমার আছে। শুধু একটু সময়ের দরকার। কিন্তু যারা টাকা পায় তারা আমাকে অনেক মানসিক চাপ দিচ্ছে। তাদের চাপের কারণে আমার কিছুই ভালো লাগছে না। কারোর ফোন ধরতে ভালো লাগছে না। মানসিক চাপের জন্য ঘুমও কম হচ্ছে। এখন আমার করণীয় কি?

উত্তর: আপনার মধ্যে সেকেন্ডারি ডিপ্রেশনের উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। আপনাকে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে সাহসিকতার সাথে। এড়িয়ে না গিয়ে পাওনাদারদের ফোন ধরে মাথা ঠান্ডা রেখে বলতে হবে যে আপনি ঋণ পরিশোধ করতে বদ্ধপরিকর। কিন্তু  আপনাকে সময় দিতে হবে। আপনার যদি কষ্ট করে হলেও ঋণ পরিশোধ করার অতীত ইতিহাস থাকে, তাহলে সেটা শেয়ার করুন। বলুন যে, আপনাকে চাপ না দিলে বরং ঠান্ডা মাথায় কাজ করে আপনি ঋণ পরিশোধ করতে পারবেন। সবচেয়ে বড় ব্যপার হলো, ঋণ পরিশোধের ব্যাপারে আন্তরিক সদিচ্ছা থাকলে আপনার আচরণে তার প্রতিফলন ঘটবেই। নিজের কাছে সৎ থাকলে যেকোনো প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিল করা অনেক সহজ হয়।  

প্রশ্ন: আমার বয়স ৩৫ বছর। আমি বেশ কিছুদিন ধরে ঘুমের সমস্যার জন্য নিজে থেকে অল্প মাত্রার ঘুমের ওষুধ খাওয়া শুরু করি। কিন্তু বর্তমানে ওষুধ ছাড়া ঘুম হয় না। মেজাজ প্রায়ই খিটখিটে থাকে। আমার করণীয় কী?

উত্তর: ঘুমের সমস্যা হলেই কিছু না ভেবে ঘুমের ওষুধ সেবন করা এবং তাতে নির্ভরশীল হয়ে পড়া বর্তমানে অনেক বেড়ে গেছে। ঘুমের ওষুধ খেয়ে কখনোই স্বাভাবিক ঘুম হবে না। ফলে ঘুমের চাহিদা পূরণ হবে না এবং দিনের বেলা ক্লান্তি ও অবসাদ থাকবে। কাজের স্পৃহা কমে যাবে। স্বাভাবিক ঘুমের জন্য স্লিপ হাইজিন মেনে চলতে হবে। কষ্ট করে হলেও ভোরে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করা, সারাদিন পর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রম করা, সুষম প্রাকৃতিক খাবার খাওয়া, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য এড়িয়ে যাওয়া, অতিরিক্ত মানসিক চাপ পরিহার করা, ঘুমানোর সময় ছাড়া বিছানায় না যাওয়া, দুপুরের পরে চা- কফি পান না করা, ঘুমানোর সময় টেলিভিশন না দেখা বা মোবাইল ব্রাউজ না করা, মেডিটেশন, রিলাকজেশন ও ব্রিদিং এক্সারসাইজ করা- এসবই স্লিপ হাইজিনের অন্তর্ভুক্ত। এগুলো চর্চা করার পরেও যদি ঘুমের সমস্যা থেকে যায় তাহলে আপনাকে বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হতে হবে।