‘আমি কালো বলে বিয়ের প্রস্তাব আসে না’

প্রশ্ন: আমি অন্যের উপর সহজে ভরসা করতে পারি না, বিশেষ করে কাজের ক্ষেত্রে। মনে হয় কেউ দায়িত্ব নিয়ে আমার মতো কাজ করবে না। আমি নিখুঁত কাজ করতে চাই সবসময়, ফলে কর্মস্থলে নিজের উপর কাজের চাপ পড়ে যায়। এতে মানসিকভাবে ভীষণ হতাশ থাকি। কীভাবে এই অভ্যাস দূর করবো?

উত্তর: কেউ নিখুঁত কাজ করে, কেউ বা অগোছালো। এটাই স্বাভাবিক। সহজাত প্রবৃত্তিকে আপনার কাছে পীড়াদায়ক মনে হওয়ার সম্ভাব্য কারণ হলো অন্য কোনও বিষয় নিয়ে আপনি মানসিক চাপে আছেন। কোন বিষয়টা আপনাকে অস্বস্তি দিচ্ছে তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন। আমাদের পারিপার্শ্বিক সকল বিষয়ের উপরে আমাদের নিয়ন্ত্রণ নেই, নেই আমাদের আবেগ অনুভূতির উপরেও। নিজের আবেগ-অনুভূতির ব্যাপারে নন-জাজমেন্টাল হতে হবে। এগুলোকে নিরপেক্ষভাবে পর্যবেক্ষণ করে যেতে হবে, নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা না করে। আমাদের পারিপার্শ্বিকতা আমাদেরকে আরেকটি কারণে পীড়া দিতে পারে, যখন আমাদের সামনে সুনির্দিষ্ট কোনও লক্ষ্য না থাকে। অনেক সময় অনেকের সামনে বস্তুগত লক্ষ্য থাকে না। তখন আনন্দদায়ক ও কল্যাণকর নতুন কোনও লক্ষ্য তৈরি করে নিতে হবে।

প্রশ্ন: আমার বয়স ৩১ বছর। আশেপাশের সবাই বলে, আমি কালো ও অসুন্দরী বলে আমার বিয়ের প্রস্তাব আসে না। এতে আমি ভীষণ ভেঙে পড়েছি। আমার মনে হচ্ছে কখনও আমার বিয়ে হবে না। আমার পরিবারও খুব হতাশ হয়ে পড়েছে। মাঝে মাঝে মনে হয় আত্নহত্যা করি।

উত্তর: আমাদের প্রত্যেকের ভেতরে এনার্জি আছে। এটা যার ভেতরে যত ভাইব্রেন্ট বা পজিটিভ, সে তত বেশি আকর্ষণীয়। কেউ তথাকথিত সুদর্শন না হলেও নিজের ভালো মন্দ সকল বৈশিষ্ট্যকে নিরবিচ্ছিন্নভাবে মেনে নেওয়ার প্রবণতা থাকে সেটা তার ভেতর পজিটিভ এনার্জি তৈরি হয় যা মনের অজান্তে অন্যদের মুগ্ধ করে। আপনিও এই গুণটি অর্জন করতে পারেন প্রতি মুহূর্তে নিজের আবেগ-অনুভূতি, চিন্তা-ভাবনাকে মেনে নেওয়ার মাধ্যমে।এটাকে আমরা সেল্ফ এপ্রুভাল বলি। কোন কারণে মেনে নিতে না পারলে সেই মেনে নিতে না পারাটাকেই মেনে নিতে হবে, যার চাইতে সহজ আর কিছু হতে পারে না।