সুখের গুরুত্ব সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে জাতিসংঘ এই দিবসটি পালন করে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ২০১২ সালের ১২ জুলাই দিনটি সর্বপ্রথম উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এই দিনটি উদযাপনের পিছনে সমাজকর্মী জেমি ইলিয়ানের আন্তরিক প্রচেষ্টা ছিল, যা জাতিসংঘের মহাসচিব জেনারেল বান কি-মুনকে অনুপ্রাণিত করে। এই প্রচেষ্টার ফলস্বরূপ আন্তর্জাতিক সুখ দিবস ঘোষণা করা হয় ২০ মার্চ।
মননশীল হও, কৃতজ্ঞ হও, সদয় হও- এই তিন মূলমন্ত্রকে এবার প্রতিপাদ্য হিসেবে জাতিসংঘ আখ্যা দিয়েছে। সম্পূর্ণরূপে সুখ উপভোগ করতে হলে এই তিন বিষয়কে স্থান দিতে হবে আমাদের যাপনে। জাতিসংঘ বলছে, কৃতজ্ঞতাবোধ আমাদেরকে সুখী হতে সাহায্য করে। আর উদারতা আমাদের সুখকে সঠিক, সত্য এবং অর্থপূর্ণ আকার দিতে পারে।
সুখে থাকার দিনটি আরেকটি কারণে তাৎপর্যপূর্ণ। একে অপরকে সুখের গুরুত্বের কথা মনে করিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে আমরা অনেক জটিলতায় আটকা পড়া থেকে নিজেদেরকে বাঁচাতে পারি। সুখকে কেন্দ্রে রেখে, আমরা মানুষকে তাদের মঙ্গলকে অগ্রাধিকার দিতে উত্সাহিত করতে পারি একই সঙ্গে তাদের ইতিবাচক মানসিক স্বাস্থ্য বাড়াতে সাহায্য করতে পারি।
সুখে থাকার জন্য কিন্তু বিশাল প্রচেষ্টর প্রয়োজন নেই, ছোট ছোট কাজ করেও সুখ অর্জন করা সম্ভব। যেমন প্রিয়জনের হাসির মাঝেও রয়েছে অনাবিল প্রশান্তি ও সুখ।