রোজায় গ্যাস্ট্রিক ও কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে দূরে থাকবেন যেভাবে

১। রোজায় খাবারকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করে নিতে হবে। যেমন ইফতার, রাতের খাবার ও সাহরি। অনেকেই আছেন যারা ইফতারে অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খেয়ে ফেলেন এবং সাহরিতে পর্যন্ত খেতে পারেন না এমন হলে কিন্তু শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে যেতে বেশি সময় লাগবে না।

২। ইফতারে অতিরিক্ত ভাজাপোড়া, মসলাযুক্ত খাবার প্রতিদিন না রেখে সপ্তাহে ১/২ দিন পরিমাণ মতো রাখুন। তবে সম্ভব হলে এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো।

৩। ইফতারে শুরুতেই পেট ভরে খাবেন না। এ সময় অল্প চিনিযুক্ত শরবত বা জুস ও খেজুর খেয়ে কিছুক্ষণ বিরতি দেওয়া ভালো।

৪। রোজায় অ্যাসিডিটি থেকে দূরে থাকতে চাইলে আর লক্ষ রাখতে হবে যেন পেট প্রতিদিন ক্লিয়ার হয়। এজন্য খাদ্য তালিকায় পর্যাপ্ত সলিউবল ফাইবার রাখা জরুরি।

পুষ্টিবিদ ফাতেমা সিদ্দিকী ছন্দা

৫। রাতের খাবারে কম মসলাযুক্ত সবজি, মাছ বা প্রোটিন ভেজিটেবল স্যুপ রাখতে পারেন। এতে করে খাবার তাড়াতাড়ি হজম হবে। অ্যাসিডিটিও হবে কম।

৬। রোজায় অ্যাসিডিটি দূর করতে চাইলে সাহরি করা জরুরি। এ সময় নরম ভাতের সাথে মাছ ও সহজপাচ্য সবজি হলে ভালো যেমন লাউ, চালকুমড়া, পেঁপে, চিচিঙ্গা ইত্যাদি।

৭। পানির পরিমাণ ঠিক রাখাটাও এ সময় জরুরি। তা না হলে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে অ্যাসিডিটি আরও বেড়ে যাবে। রোজায় পানির পরিমাণ ঠিক রাখতে প্রতিবেলা খাওয়ার ১০ মিনিট আগে ও পরে ১ গ্লাস করে পানি খেতে হবে। তাহলে হজম ভালো হবে ও অ্যাসিডিটি দূর হবে। তবে কোনোভাবেই খাওয়ার মাঝখানে পানি খাওয়া যাবে না।