বাড়তি খরচ কমানোর ৫ কৌশল

উপার্জনের একটি নির্দিষ্ট অংশ ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করা ভীষণ জরুরি। তবে জিনিসপত্রের ঊর্ধ্বগতির কারণে দেখা যাচ্ছে কিছুই জমানো সম্ভব হচ্ছে না। এক খাতে খরচের লাগাম টেনে ধরলে বেড়ে যাচ্ছে অন্য খাতে। এমতাবস্থায় একটু পরিকল্পনা করে চলার বিকল্প নেই। কীভাবে দৈনন্দিন খরচ কমাবেন? জেনে নিন কিছু উপায়।

 

মাসের শুরুতেই পরিকল্পনা করে ফেলুন খরচের। ছবি- সংগৃহীত

খরচ কোন খাতে বেশি হচ্ছে সেটা বের করুন

মাসের কিছু খরচ নির্দিষ্ট থাকে। যেমন বাড়ি ভাড়া, গ্যাসের বিল। আবার কিছু খরচ দেখা যায় একেক মাসে একেক রকম হয়। যেমন অনলাইন শপিং। এই যুগে অনলাইন শপিংয়ের পেছনে অনেক সময় বাড়তি টাকা খরচ করে ফেলি আমরা। এক্ষেত্রে চোখকান খোলা রেখে দেখুন কোন খ্যাত প্রয়োজনের চাইতেও বেশি খরচ করছেন। কোনটা প্রয়োজনীয়, আর কোনটা শৌখিন খরচ, সেটা খুঁজে বের করুন।

মাসের বাজেট ঠিক করুন

মাসের শুরুতেই বাজেট অনুযায়ী টাকা আলাদা করে ফেলুন। চেষ্টা করুন এই টাকার মধ্যেই মাসের সব খরচ করার। এক খাতে টাকা কম পড়লে অন্য খাতে খরচ কমিয়ে আনুন।

ব্যবহার করেন না এমন অ্যাপের সাবস্ক্রিপশন বাতিল করুন

ফোনে এমন অনেক অ্যাপ থাকে, যা হয়তো আমাদের প্রয়োজন হয় না। কেবল প্রয়োজনীয় অ্যাপগুলোই ফোনে রাখুন। ওটিটি অ্যাপগুলোর ক্ষেত্রেও এভাবে নির্দিষ্ট কিছু অ্যাপ রাখুন। বাকিগুলোর সাবস্ক্রিপশন বাতিল করে দিন। বিদ্যুতের খরচ কমান

চেষ্টা করুন বিদ্যুৎ বিলের লাগাম টেনে ধরতে। দিনে আলো জ্বালিয়ে রাখা, প্রয়োজন ছাড়া এসি বা ফ্যান চালিয়ে রাখার অভ্যাস বাদ দিন। প্রতিদিন ওয়াশিং মেশিন চালানোর প্রয়োজন না পড়লে সপ্তাহে তিন দিন চালান।

ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার কমান

ক্রেডিট কার্ড পকেটে থাকলেই অনাবশ্যক জিনিস কেনা হয়ে যায় প্রায়ই। তাই চেষ্টা করুন নগদ টাকায় কেনাকাটা করতে।