বন যেখানে সাগরে মিশে...

বন যেখানে সাগরে মিশে...

আজ ২০ ফেব্রুয়ারি, সময় দুপুর ১টা। আমরা তিন জন অর্ধাচন্দ্রাকৃতির এক সমুদ্র সৈকতে দাঁড়িয়ে। গোসল করার জন্য আদর্শ যায়গা বটে। কিন্তু আমরা গোসলের কথা ভাবছি না। ভাবনার জগত জুড়ে পুরোটাই দখল করে আছে সমুদ্র সৈকত ও চারপাশের পরিবেশ। সমুদ্র সৈকতের পেছনে ঝাউগাছের সারি মন জুড়িয়ে দিচ্ছে। মানুষজনের চেয়ে বেশি চোখে পড়ছে ঢেউয়ের উথালি-পাথালি ও অসংখ্য মাছ ধরার নৌকা। আরও একটু দূরে দৃষ্টি প্রসারিত করে দেখতে পেলাম ছোট্ট একটি গ্রাম। এটা জেলেপল্লী। তবে স্থায়ী নয়, জেলেদের অস্থায়ী আবাস। সুন্দরবনের দুবলার চরের মতোই শীত মৌসুমে এখানে ছয় মাসের জন্য আবাস গড়ে ওঠে।

বন যেখানে সাগরে মিশে...

এমন জনমানবহীন সমুদ্র সৈকত ও তার আশেপাশের পরিবেশ দেখে ভেবে বসেছিলাম দ্বীপটির মালিক আমরা তিন জন! আমরা তিনজন হচ্ছি- আমি, চিকিৎসক নাজমূল হক ও বন্ধু শরীফ নীড়। ছোট্ট একটি ট্রলার চেপে প্রথমে তেতুলিয়া নদী, তারপর বুড়াগৌরাঙ্গ হয়ে মেঘনার মোহনা হয়ে শেষে বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে একটু আগে এখানে পা রেখেছি। চার ঘন্টার ট্রলার ভ্রমণ পুরোটাই ছিল নিখাদ আনন্দে ভরপুর। কত যে পাখি দেখলাম! নাজমূল হক স্যার দীর্ঘদিন পাখির ছবি তুললেও এখানে এসে তার মুখ থেকে বের হলো, ‘জীবনে এক সঙ্গে এত পাখি এই প্রথম দেখলাম!’ আর সেই পাখির চোখে চোখ রেখে রেখে তিন জনের দল চলে এলাম যেখানে তার নাম সোনারচর।






প্রচুর পাখির দেখা মিলবে এখানে

প্রচুর পাখির দেখা মিলবে এখানে

প্রচুর পাখির দেখা মিলবে এখানে

গত বছরের গ্রীষ্মে চর কুকরি-মুকরি এসে খুব তাড়াহুড়া করে ফিরে গিয়েছিলাম। তাই আশেপাশের কিছুই সেভাবে দেখা হয়নি। তবে প্রতিজ্ঞা ছিল শীত মৌসুমে পুরো দক্ষিণাঞ্চল ঘুরে দেখব। তাছাড়া নাজমূল স্যারকেও কথা দিয়েছিলাম এই শীতে তাকে চর কুকরি, দ্বীপ তারুয়া ও সোনারচর দেখাবো। শীত যাই যাই করে একসময় চলেও গেল অথচ আমাদের আর সময় হলো না! যখন সময় হলো তখন সবে বসন্ত মৌসুম শুরু হয়েছে। কয়েকদিনের বন্ধে কাঙ্খিত দক্ষিণাঞ্চল ঘুরে দেখার পরিকল্পনা করলাম। ছয় জনের দল শেষে গিয়ে ঠেকল তিন জনে। আমরা ঢাকা থেকে লঞ্চে চর ফ্যাশন ও চর কচ্ছপিয়া হয়ে স্পিড বোটে চেপে চলে আসি চর কুকরি-মুকরি। সেদিন চর কুকরি-মুকরির নারিকেল বন ও তারুয়ার দ্বীপ ঘুরে দেখি। পরদিন ভোরে বের হই সোনারচরের উদ্দেশ্যে। আমাদের সঙ্গে গাইড ছিলেন শিক্ষক জাকির হোসেন। সাতসকালে ইলিশ ভাজা আর লাল চালের গরম ভাত খেয়ে রওনা হই। ট্রলার দেখে পছন্দ না হলেও চড়ে বসতে কারোরই আপত্তি দেখলাম না। একটু সমস্যা মনে হলো ট্রলারের গতি নিয়ে, একেবারে কচ্ছপ গতিতে সে এগিয়ে চলছিল। বিষয়টা পছন্দ না হলেও করার কিছুই ছিল না। কুকরির খাল পার হয়ে মেঘনার মোহনায় পড়তেই ম্যনগ্রোভ বনের পাশের ছোট্ট চর দীঘলে মহিষের পাল ও বকপাখির সঙ্গে অনেক নাম না জানা পাখি ও ঝাঁকে ঝাঁকে কাস্তেচেরা দেখে মনটা আনন্দে নেচে উঠতেই বোঝা হয়ে গেল দিনটা আমাদের!'
বন যেখানে সাগরে মিশে

হেঁটে যায় বক

চর দীঘল পেরিয়ে আরও সামনে যেতেই নিজেদের সাত সাগরের ওপার মনে হল। চারদিকে অথৈ জল আর মাছ ধরার ফাঁদ ছাড়া আর কিছুই চোখে পড়ছিল না। মাঝে-মধ্যে একটা দুইটা ইলিশের নাও চলে যাচ্ছিল প্রচণ্ড শব্দ করে। হঠাৎ গড়গড় আওয়াজ আর কাশির মত শব্দ করে ট্রলার দাঁড়িয়ে গেল। তখনই চোখে পড়ল সামনেই একঝাঁক সাদা রঙের পাখির ঝলক। নাজমূল স্যার ইশারায় ট্রলার চালককে গতি কমিয়ে ধীরে এগিয়ে যেতে বললেন। তারপর শুনলাম তার বিড়বিড় উচ্চারণ ‘পাতিচখা!’ ইতিমধ্যে ট্রলার চালক ট্রলারের ইঞ্জিন বন্ধ করে বৈঠা হাতে নিয়ে ধীরে তার নৌকা এগিয়ে নিচ্ছিলেন পাতিচখার দিকে। শরীফ আর নাজমূল স্যার ততক্ষণ সমানে ক্যামেরা ক্লিক করে চলছিলেন। তারপর হঠাৎ কোন সে আওয়াজে পাতিচখার দলের আকাশপানে উড়াল। পাতিচখার চলে যাওয়ার জন্য আক্ষেপ না করে আমরা সেই উড়ে চলা দু’চোখ ভরে দেখে চললাম। এর মধ্যে ট্রলারের ইঞ্জিন চালু হয়েছে। আমাদের চোখ যেন আর সরে না। যদি পাখি দেখা মিস হয়ে যায়! মেঘনা নদী পেরোনো শেষ হয়ে এখন আমরা চলছি বঙ্গপোসাগরের বুকের ওপর। এবারের সুন্দর অন্য রকম। ঢেউ এর পর ঢেউ এগিয়ে আসা ভীষণ অপূর্ব। এভাবে কতক্ষণ চলেছি মনে নেই। দু’চোখে সবুজ ভর করতেই বুঝলাম আমরা সোনারচরের খুব কাছে চলে এসেছি।

বন যেখানে সাগরে মিশে

একসময় আমাদের ট্রলার আস্তে আস্তে থিতু হল। কিছুক্ষণের মধ্যে পাশের খাল ধরে চলে এলাম সোনারচরের সান বাঁধানো ঘাটে। এবার আমরা ব্যাকপ্যাকসহ নেমে এলাম। সোনার চরে আমাদের প্রথম মুগ্ধতা ছিল ঝুনঝুনির ফুল আর ঝাউগাছ। আরও চোখে পড়ল উপকূলীয় অঞ্চলের গাছ হরগোজা ও বাবলা। এখানে পুরোটাই ইটের আঁকাবাঁকা রাস্তা। সেই রাস্তা আর সবুজে চোখ জুড়িয়ে ঠিক দশ মিনিটে চলে আসি সমুদ্র সৈকতে। সোনালি রঙের মোটা দানার বালুকাময় ছোট বলে মুড়ানো সোনারচর সৈকত। মুগ্ধতায় ভরা সে সৈকতের আরেক মুগ্ধতা কাঁকড়া দলের অসাধারণ শিল্পকর্ম। সেসব শিল্পিত শোভা দু’চোখ ভরে দেখছিলাম আর ক্যামেরাবন্দী করছিলাম। এর মধ্যে অনেক পাখির দেখাও পেয়েছি। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল চখাচখি, লালপা বা রেডস্যাঙ্ক, হলদে খঞ্জন, বড় বুলিন্দা ও কাস্তেচেরা। আর বক দেখেছি অগণিত। এভাবেই আমরা পায়ে পায়ে চলে আসি জেলেপল্লীতে। এখানে এখন অনেকটা অলস জীবনযাপন। সকালের মাছ ধরার পর্ব শেষ হয়েছে। আবার শুরু হবে বিকেলে। এখন চলছে মাছ শুকিয়ে শুঁটকি বানানোর কাজ। এসব শুঁটকির বেশিরভাগই মুরগির খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আমরা জেলেদের সঙ্গে কথা বললাম। দেখলাম একদল শিশুর হাতে দা! নাজমূল স্যার এগিয়ে জানতে চাইলেন ব্যাপার।  জানা গেল তারা পাশের চর থেকে এখানে এসেছে লাকড়ির সন্ধানে। প্রায় দিনই তারা কোষা নাও নিয়ে বের হয় লাকড়ি সন্ধানে। সোনারচরে যেহেতু প্রচুর গাছ সুতরাং ভরসা তাদের সবসময় সোনারচর। ঘটনা শুনে শরীফের মন খারাপ হয়ে গেল। কারণ এখন তারা মরা ডাল কেটে লাকড়ি সংগ্রহ করছে, এভাবে একদিন না আবার গাছ কেটে সবুজ বিনষ্ট করে!

 বন যেখানে সাগরে মিশে

সোনারচরের সমুদ্র সৈকত

সোনারচরের সমুদ্র সৈকত

আমরা প্রায় দেড় ঘন্টা সোনারচর সমুদ্র সৈকত ও জেলেপল্লীতে ছিলাম। সোনারচর সমুদ্র সৈকতের সোনালি বালিতে কিলবিল করা ছোট্ট কাঁকড়ার দলে দারুণ মুগ্ধতা ছড়ানো। সমুদ্র সৈকতের কথা শুরুতেই বলেছি। বাঁকানো সৈকতটিকে দেখতে একবারে অর্ধচন্দ্রাকৃতির। যায়গায় যায়গায় শ্যাওলা পড়া দেখে বোঝাই যায় কালেভদ্রে এখানে লোকজন আসেন। যেহেতু রাত্রিযাপন করবো না সেহেতু বেলা থাকতেই চর কুকরিতে ফেরার প্রস্তুতি হিসেবে ঝাউবনের ভেতর হাঁটা শুরু করি। ঝাউবন পেরিয়ে পেয়ে যাই কেওড়া বন। দেখতে পাই এই ম্যানগ্রোভ বনে সামাজিক বনায়ণের চিহ্ন। আমরা আরও কিছুটা হেঁটে পেয়ে যাই বনবিভাগের বাংলো। একটা তাঁবুর প্রয়োজনীয়তা প্রবলভাবে অনুভব করি কিন্তু তিনজন মিলে প্রয়োজনীয় রসদবিহীন সোনার চর থাকার ইচ্ছেতে গুঁড়েবালি! আমরা চলে আসি আমাদের নির্দিষ্ট ঘাটে যেখানে নোঙর করা আছে আমাদের বাহন ছোট্ট ট্রলারটি।  

 বনের মধ্যে হাঁটাহাঁটি

শেষ কথা

বনবিভাগের আওতাধীন সোনারচর হচ্ছে বন্য প্রাণীর অভয়ারণ্য। সুন্দরবনের পর চর কুকরি-মুকরি ও সোনারচরকেই ধরা হয় দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন। সোনারচরের মূল সৌন্দর্য এখানকার ঝাউবন। এছাড়া এই বনে রয়েছে প্রচুর কেওড়া ও ছৈলাসহ গোলপাতা, বাবলা, করমচা, নলখাগড়া ও জাম গাছ। শীত মৌসুমে এখানে প্রচুর পরিযায়ী পাখি আসে। সে অর্থে সোনারচর প্রচুর দেশি-বিদেশি পাখির বিচরণ ক্ষেত্র। হরিণ থেকে শুরু করে গেছো বাঘ, বন বিড়াল, বন মুরগি ও বানরসহ অনেক প্রাণী রয়েছে এই বনে। শোনা কথা সকাল ও বিকালে হরিণ চলে আসে সোনারচর সমুদ্র সৈকতে। প্রতি বছর ছয় মাসের জন্য সোনারচর মৎসজীবীদের আবাসস্থল হয়ে ওঠে। তবে দুর্গম এলাকা ও থাকার ব্যবস্থা গড়ে না ওঠায় এখানে পর্যটক খুব বেশি আসেন না। বনবিভাগের পটুয়াখালি রেঞ্জের আওতায় গড়ে ওঠা সোনারচর পটুয়াখালি বা গলাচিপা হয়ে যেতে সময় লাগে প্রায় আট ঘন্টার ওপর। সেখানে চর কুকরি থেকে সোনারচর যেতে সময় লাগে ট্রলারে সর্বোচ্চ দুই ঘন্টা। সে অর্থে সোনারচর কেন পটুয়াখালি রেঞ্জে তা কেবল সরকারের নীতি নির্ধারকরাই বলতে পারবেন ভাবতে ভাবতে ট্রলার ছেড়ে যেই আমরা কুকরি-মুকরির দিকে ছুটতে যাবো তখনই পাশের চরে দেখা মেলে ধলাবুক ঈগলের। ততক্ষনে ভাটা পড়ে চর জেগেছে। আমাদেরও যাওয়া বন্ধ হয়েছে তাই। এবার আমাদের ফিরতে হবে অনেকটা পথ ঘুড়ে চর মন্তাজ হয়ে।

চলছে মাছ শিকার

প্রয়োজনীয় তথ্য
সোনার চরকে বলা হয় ম্যানগ্রোভ বন। এই চরটি বঙ্গপোসগরে স্থায়ী হয়ে গেছে। সোনার চর যেভাবে আছে সেভাবে থাকাটাই শ্রেয়। অযথা প্রকৃতি বিনষ্ট করে এখানে আবাস গড়ার কাজ শুরু করলে চমৎকার এই চরটির ধংস ডেকে আনা ছাড়া আমরা আর কিছুই করতে পারবো না। এটা আমার একান্ত ব্যক্তিগত মতামত। তবে যেহেতু এখানে সারা বছরই পর্যটকদের আনাগোনা রয়েছে, বিশেষ করে শীত মৌসুমে অনেকেই এখানে আসেন, সেহেতু নিরাপত্তাসহ এই চরে পর্যটক সুবিধা থাকা উচিত। এতে পর্যটকরা সবুজ এই চরটির একদিকের বন ও অন্য দিকের নয়নাভিরাম সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য এবং সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখতে পারবেন। যেন একই সঙ্গে সুন্দরবন, কুয়াকাটা বা সেন্টমার্টিন! সারাবছরই সোনারচর যাওয়া যায়। শীতে যেতে পারলে অবশ্য ভালো হয়। শীত ও বসন্তকালে গেলে পাখি ও বন্যপ্রাণীর দেখা পাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।

 বন যেখানে সাগরে মিশে

কীভাবে যাবেন

সোনারচর পটুয়াখালি জেলার বিচ্ছিন্ন এক চরের নাম। পটুয়াখালির গলাচিপা থেকে সোনারচর যেতে পারবেন। আবার চর কুকরিমুকরি বা চর কচ্ছপিয়া ফেরিঘাট থেকে সরাসরিও যেতে পরবেন। গলাচিপা থেকে সোনারচরের দূরত্ব প্রায় ১২০ কিলোমিটার। চর কুকরি-মুকরি বা চর কচ্ছপিয়া থেকে দূরত্ব প্রায় ৪০ থেকে ৬০ কিলোমিটার। সুতরাং সোনারচর যেতে হলে চর কচ্ছপিয়া বা চর কুকরি-মুকরি থেকেই সহজ যাত্রা। ঢাকার সদরঘাট থেকে সরাসরি গলাচিপা বা চর ফ্যাশন চলে যান। আমি গিয়েছিলাম ভোলা জেলার চর ফ্যাশন এর চর কচ্ছপিয়া ঘাট থেকে ট্রলারে চেপে চর কুকরি-মুকরি। চর কুকরি-মুকরি এক রাত থেকে সেখানকার চর সৌন্দর্য উপভোগ করে পরের দিন ট্রলারে সোনারচর চলে যাই। ট্রলার ভাড়া আসা যাওয়া মিলে সর্বোচ্চ ৪,০০০ টাকার মতো। সোনারচর দলবেঁধে যাওয়াই ভালো। লঞ্চে ঢাকা থেকে চর ফ্যাশন (বেতুয়া ঘাট বা ঘোসের হাঁট) ডেকের ভাড়া ২০০ টাকা। কেবিন ১,০০০ টাকা। চর ফ্যাশন থেকে চর কচ্ছপিয়া ফেরিঘাট যেতে হবে মোটর সাইকেল অথবা বোরাকে (ইজিবাইক) চেপে। সময় বাঁচানোর জন্য মোটর সাইকেলে চেপেই চলে যেতে পারেন। সময় লাগবে ৪৫ মিনিট, ভাড়া জনপ্রতি ১০০ টাকা। এবার স্পিডবোট কিংবা ট্রলার রিজার্ভ নিয়ে নিন ১,০০০ থেকে ১,৫০০ টাকায় অথবা লাইনের ট্রলারে চেপে চলে যান চর কুকরি-মুকরি। চর কুকরি-মুকরি রাত্রিযাপনের জন্য সঙ্গে তাঁবু নেবেন। উপজেলা পরিষদ ভবনে অনুমতি সাপেক্ষে রাত্রিযাপন করা যাবে এখানে। রাত্রিযাপন করা যাবে বনবিভাগের অফিসার্স কোয়ার্টার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়ি কিংবা খোলা মাঠে তাঁবু পেতে। খাওয়া-দাওয়ার কোনও চিন্তা নেই। বাজারের হোটেলে অর্ডার দিলেই তাজা মাছের সঙ্গে দেশি মুরগি সহজেই পেয়ে যাবেন, দামও হাতের নাগালে। সোনারচর থাকার জন্য বনবিভাগের বাংলো ছাড়াও থাকতে পারেন খোলা প্রান্তর বা সমুদ্র সৈকতের তাঁবু পেতে। খাবারদাবার চর কুকরি-মুকরি থেকেই নিয়ে আসতে হবে।

বন যেখানে সাগরে মিশে

ছবি: লেখক

 

/এনএ/