শীতের রিক্ততাকে বিদায় দিয়ে উৎসবে মেতে উঠবে প্রকৃতি, যা বসন্তবরণ উৎসব হিসেবে পরিচিত। আবার একই দিনে উদযাপিত হবে ভালোবাসার দিন। ভালোবাসা দিবস বা সেন্ট ভ্যালেন্টাইন দিবসকে সেইন্ট ভ্যালেন্টাইন্স উৎসবও বলা হয়। এই দুই উৎসব ঘিরে এখন নগরজুড়ে আনন্দ। চলছে প্রস্তুতি। সাজ, পোশাক ও অন্যান্য প্রস্তুতি নিয়ে আপনি তৈরি তো?
মানুষ এখন উৎসবের আমেজের পাশাপাশি স্বস্তি খোঁজেন পোশাকে। অন্তত দিনের সাজপোশাক হওয়া চাই ছিমছাম ও আরামদায়ক। কারণ গরম পড়তে শুরু করেছে এরই মধ্যে। চারুকলার বসন্তবরণ উৎসবে যেতে চাইলে তাই সুতির পোশাকই সেরা। শাড়ি, সালোয়ার কামিজ বা কুর্তির সঙ্গে সাজটাও হোক স্নিগ্ধ। শাড়ির সঙ্গে হাতখোঁপা করে নিতে পারেন চুলে। চোখে কাজল আর কপালে টিপ থাকলে পূর্ণতা পাবে সাজ।
বসন্তবরণ কি ফুল ছাড়া হয়? তাজা ফুল যেমন গুঁজে দিতে পারেন খোঁপায়, তেমনি ফুলেল মোটিফের পোশাকেও সেজে উঠতে পারেন মনের মতো। চুলের সাজে কৃত্রিম ফুলও কিন্তু বেশ যুতসই হবে। আজকাল কৃত্রিম গাঁজরা ফুলের বেশ চল রয়েছে। সেটা দিয়েও খোঁপা সাজাতে পারেন। আবার গাঁদা ফুলের মালা দু’হাতে জড়িয়েও নিয়ে আসা যায় উৎসবের আবহ। বসন্তবরণ উৎসবে দুই হাত ভর্তি করে পরতে পারেন কাচের চুড়ি।
রাতে একটু জমকালো সাজে বেরিয়ে পড়তে পারেন ভালোবাসা দিবস উদযাপন করতে। ভালোবাসা দিবসের বিশেষ ডিনারে পরতে পারেন গাউন বা সিল্কের শাড়ি। এ সময় গাঢ় রঙগুলো বেশ ভালো লাগবে। চোখ সাজাতে পারেন স্মোকি সাজে। গ্লিটারের ঝকঝকে সাজে চোখ ও ঠোঁট সাজালেও বেশ লাগবে। তবে সাজ আর পোশাকের পুরোটাই আসলে নিজের ইচ্ছের উপর। যেভাবে ভালো লাগে, সাজুন সেভাবেই।
জেনে নিন
- দিনে বাইরে বের হওয়ার ক্ষেত্রে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে ভুলবেন না।
- দিনের বেলা রোদ থেকে বাঁচতে ছাতা রাখুন সঙ্গে। পানির বোতলও রাখুন ব্যাগে।
- স্বাচ্ছন্দ্য না হলে হিল জুতা পরবেন না। সারাদিনের ঘোরাঘুরি মাটি হতে পারে।
- আজকেই ফুল কিনে ফেললে ফ্রিজে রেখে দিন। তাজা থাকবে। কালকে বের হওয়ার আগে জড়িয়ে নিন খোঁপায়।
- করোনার প্রকোপ বাড়ছে। ফলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প নেই। অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করবেন। সঙ্গে হ্যান্ডসানিটাইজার ও বাড়তি মাস্ক রাখতে ভুলবেন না।