রান্নাঘরে ঢুকেই দেখলেন এঁটো বাসন উপচে পড়ছে সিঙ্কে। আবার চুলার আশপাশটাও হয়ে আছে তেল চিটচিটে। এগুলো গোছাতে গোছাতে দিনের একটা বড় অংশই হয়ে গেল মাটি। রান্নাঘর পরিষ্কার করতে কম ভোগান্তি পোহাতে চাইলে কিছু ভুল এড়িয়ে চলা জরুরি। সাজানো গোছানো রান্নাঘরের জন্য কোন কোন ভুল এড়িয়ে চলবেন ও কোন কোন অভ্যাস আয়ত্ত করবেন জেনে নিন।
- রান্নাঘর পরিপাটি রাখার জন্য নিয়মিত ডিক্লাটারিং অপরিহার্য। কাউন্টারটপ এবং ক্যাবিনেটগুলোতে অপ্রয়োজনীয় জিনিস জমিয়ে রাখবেন না। এমন সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি রাখুন যেগুলো কাজে লাগে।
- রান্না করার পরপরই রান্নাঘর পরিষ্কার করার অভ্যাস নেই? ভুল করছেন বড়সড়। রান্না শেষ হওয়ার পরপরই মসলার বয়াম যেমন গুছিয়ে রাখবেন, তেমনি চুলা ও এর আশপাশটাও ঝটপট পরিষ্কার করে ফেলুন। এতে পরবর্তীতে ঝক্কি কমে।
- নোংরা থালাবাসন স্তূপ করে রাখেন? এমনটি করলে বিড়ম্বনা বাড়বে। প্লেট বা বাসন জমিয়ে না রেখে সঙ্গে সঙ্গে পরিকার করে ফেলুন।
- ক্লিনিং টুলস বা প্রোডাক্ট ঠিকঠাক ব্যবহার করছেন তো? বিভিন্ন সারফেসের জন্য উপযুক্ত মাইক্রোফাইবার কাপড়, স্পঞ্জ এবং মাল্টিপারপাস ক্লিনারের মতো মানসম্পন্ন পরিষ্কারের সরঞ্জাম ব্যবহার করুন। দ্রুত পরিষ্কার এবং পুঙ্খানুপুঙ্খ পরিষ্কার কবে কিচেন।
- ওভেন, মাইক্রোওয়েভ এবং রেফ্রিজারেটরের মতো যন্ত্রপাতিগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ ঠিক মতো করছেন তো? খাদ্যের অবশিষ্টাংশ পড়ে গন্ধ হওয়া রোধ করতে যন্ত্রপাতি পরিষ্কার রাখুন।
- খাবার সংরক্ষণ উপযুক্তভাবে করছেন তো? ময়দা, চিনি এবং খাদ্যশস্যের মতো খাবারের জন্য বায়ুরোধী পাত্র জরুরি। এতে এগুলো সতেজ এবং কীটপতঙ্গমুক্ত রাখা যায়। আলু, পেঁয়াজ, রসুন ফ্রিজে না রেখে রুমের তাপমাত্রায় রাখুন।
- আবর্জনা নিয়মিত পরিষ্কার করছেন তো? উপচে পড়া আবর্জনার পাত্র রান্নাঘরে অপ্রীতিকর গন্ধ নিয়ে আস্তে পারে। নিয়মিতভাবে আবর্জনার পাত্র পরিষ্কার করুন। ঢাকনাসহ বিন ব্যবহার করবেন অবশ্যই।
- দৈনিক এবং সাপ্তাহিক পরিচ্ছন্নতার সময়সূচী তৈরি করুন যাতে সারফেস মোছা, মেঝে মুছে ফেলা এবং রেফ্রিজারেটর পরিষ্কার করার মতো কাজগুলো অন্তর্ভুক্ত থাকে।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি