দৃষ্টিশক্তি প্রখর রাখতে এই খাবারগুলো খান প্রতিদিন

চোখ ভালো রাখতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া জরুরি। এগুলো বয়স সম্পর্কিত চোখের ক্ষতি থেকে আমাদের রক্ষা করতে পারে। ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সহায়তা করে, অন্যদিকে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। চোখ ভালো রাখার জন্য শিশুদের বিভিন্ন রঙিন ফল ও শাকসবজি খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। 

শিশুকাল থেকেই চোখের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। শিশুদের সার্বিক বিকাশ এবং সুস্থতার জন্য চোখের স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিশুরা যে খাবার গ্রহণ করে তা কেবল দৃষ্টিশক্তি বজায় রাখতেই নয় বরং পরবর্তী জীবনে দৃষ্টিশক্তির সমস্যা প্রতিরোধেও সাহায্য করে। দৃষ্টি তীক্ষ্ণ রাখতে কিছু খাবার অবশ্যই রাখতে হবে খাদ্য তালিকায়। 

 

  • অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ খাবার দৃষ্টিশক্তি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি, ই এবং বিটা ক্যারোটিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রাকৃতিকভাবে কমলা, গাজর, পালং শাক এবং ব্রকলিতে পাওয়া যায়। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো শরীরে উৎপাদিত ফ্রি র‌্যাডিক্যালের সংখ্যা কমাতে সাহায্য করে যা সময়ের সাথে সাথে চোখের ক্ষতি করতে পারে।
  • শৈশবকালে চোখের বৃদ্ধি এবং বিকাশ দ্রুত হয়। ভিটামিন এ সুস্থ দৃষ্টি বজায় রাখার জন্য অপরিহার্য এবং রেটিনা এবং অন্যান্য চোখের টিস্যুগুলোর বিকাশে সাহায্য করে। দুগ্ধজাত খাবার, ডিম এবং সবুজ শাক-সবজির মতো খাবার ভিটামিন এ সমৃদ্ধ।
  • ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রেটিনায় কোষের ঝিল্লির কাঠামোগত অখণ্ডতা বজায় রাখে। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে প্রদাহ থেকে রক্ষা করে। তেল সমৃদ্ধ মাছ, আখরোট, এবং ফ্ল্যাক্সসিডে ওমেগা ৩ প্রচুর পরিমাণে রয়েছে।
  • আজকাল শিশুরা অনেকটা সময় স্ক্রিন দেখে কাটায়। তাদের চোখের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে অতিরিক্ত গ্যাজেট দেখার প্রবণতা। ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার যেমন বাদাম, চোখকে রক্ষা করে। দীর্ঘক্ষণ পর্দার দিকে তাকিয়ে থাকার ক্ষতি, পরিবেশে দূষণের কারণে প্রদাহ ও অক্সিডেটিভ ক্ষতি প্রতিরোধ করে।
  • শৈশব থেকেই স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসকে অগ্রাধিকার দেওয়া জরুরি। দৃষ্টিশক্তির সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে শিশুদের রঙিন শাকসবজি, ফলমূল এবং গোটা শস্য খেতে দিতে হবে। 


তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া