গ্রামে প্রবেশ করলেই কানে ভেসে আসবে হাতুড়ির ঠুকঠাক শব্দ। কোথাও কোথাও আগুনের ফুলকি চোখে পড়বে। সবাই কাজ করছেন আপন মনে। চলছে গহনা তৈরির বিশাল কর্মযজ্ঞ। গ্রামের নাম ভাকুর্তা। বলা হয় গহনার গ্রাম!
সোনা-রূপার পাশাপাশি ইমিটেশনের গহনার চাহিদা রয়েছে প্রচুর। সারাদেশেই গহনা তৈরির কারিগররা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলেও গহনা ও তার কারিগরদের কথা উঠলে সবাই একবাক্যে তাঁতিবাজার ও শাঁখারিবাজারের কথা বলেন। কিন্তু অনেকেই জানেন না গহনার মূল ডিজাইন বা কাঠামো তৈরি হয়ে থাকে বুড়িগঙ্গার তীরের সাভার এলাকার গ্রাম ভাকুর্তায়। ঢাকার গাবতলি থেকে আমিনবাজার পার হলেই হাতের বাম দিকে একটি পুরাতন জরাজীর্ণ বেইলি ব্রিজ চোখে পড়বে। ব্রিজটি পার হয়ে পেয়ে যাবেন মোগরকান্দা। তারপরের পুরোটাই ভাকুর্তা। ভাকুর্তা, মধ্য ভাকুর্তা এবং হিন্দু ভাকুর্তা মিলে পুরো একটা ভাকুর্তা গ্রাম। এই ভাকুর্তা গ্রামকেই বলা হয়ে থাকে গহনার গ্রাম। এখানে তৈরি গহনা চলে যায় সারাদেশে।
ভাকুর্তা ইউনিয়নের গ্রাম ভাকুর্তা, মধ্যভাকুর্তা ও হিন্দু ভাকুর্তায় রয়েছে প্রায় হাজার পাঁচেক গহনার কারিগর। এসব কারিগর বিভিন্ন ধরনের গহনা ও তার ডিজাইন তৈরিতে ব্যস্ত থাকেন। এ গ্রামে পাওয়া যায় দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ধরনের নকশাদার গহনা। ভাকুর্তায় গহনা বাজারে এলে দেখা যাবে শিল্পের নৈপুণ্য আর তার অপরূপ সৌন্দর্য। ছবিতে দেখে নিন গহনার গ্রামের এক ঝলক-
ছবি: লেখক
/এনএ/