নিষ্প্রাণ ত্বক উজ্জ্বল করতে খুব দামী প্রসাধনী ব্যবহার করতে হবে এমন নয়। হাতের কাছে থাকা কমলার খোসা দিয়েই কিন্তু কাজটি সেরে ফেলতে পারেন। এখন শীতকাল, ফলে বাজারে প্রচুর পরিমাণে কমলা পাওয়া যাচ্ছে। কমলা খাওয়ার পর খোসা ফেলে না দিয়ে ব্যবহার করতে পারেন ত্বকের যত্নে।
- কমলার খোসায় অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান রয়েছে। এসব উপাদান ব্রণের বিরুদ্ধে কাজ করে। একটি কমলার খোসা ১ কাপ পানিতে সেদ্ধ করে নিয়ে সেই পানি টোনার হিসেবে ব্যবহার করুন ত্বকে।
- ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ কমলার খোসা ত্বক উজ্জ্বল করে প্রাকৃতিকভাবে। ১ চা চামচ কমলার খোসার গুঁড়ার সঙ্গে ২ চা চামচ টক দই মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। পেস্টটি ত্বকে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন ত্বক। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক হবে উজ্জ্বল, কোমল ও প্রাণবন্ত।
- ত্বকে তেলের ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং ত্বককে মসৃণ, নরম করে তুলতে ব্যবহার করুন কমার খোসা। তাজা কমলার খোসার সঙ্গে মসুরের ডাল বেটে নিন। মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে রাখুন না সুকানো পর্যন্ত।
- রোদের তাপে ত্বক কালচে হয়ে গেলে এই ফেসপ্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন। ১ চা চামচ কমলার খোসার সঙ্গে সামান্য হলুদ এবং ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। মিশ্রণটি ৫ থেকে ১০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন ত্বকে। গোলাপজল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ত্বক।
- ১ চা চামচ কমলার খোসা গুঁড়ার সঙ্গে ১ চা চামচ মুলতানি মাটি এবং পরিমাণ মতো গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। মিশ্রণটি মুখ ও গলার ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।
- ২ ভাগ কমলার খোসা গুঁড়ার সঙ্গে ১ ভাগ ওটমিল গুঁড়া মেশান। মিশ্রণে ১ চিমটি বেকিং সোডা মিশিয়ে সামান্য পানি দিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। ফেসপ্যাকটি ত্বকে ম্যাসাজ করুন চক্রাকারে। ২০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন।
- কমলার খোসা গুঁড়ার সঙ্গে চন্দনের গুঁড়া ও গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। সামান্য দুধ মেশান। ফেসপ্যাকটি ত্বকে লাগিয়ে রাখুন না শুকানো পর্যন্ত। ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বকের রুক্ষতা দূর করবে।