সুস্থ থাকতে নিয়মিত ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। ক্ষতিকর জীবাণুর সঙ্গে লড়াই করতে পারে এমন বেশ কিছু উপাদান রয়েছে ডিমে। এছাড়া আমাদের মস্তিষ্কের সঠিক বিকাশের জন্য নিয়মিত ডিম খাওয়ার বিকল্প নেই। তবে অনেকেই দ্বিধায় থাকেন উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগীরা ডিম খেতে পারবেন কিনা সেটা নিয়ে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং হেলথ অ্যান্ড হোপ স্পেশালাইজড হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. লেলিন চৌধুরী সম্প্রতি সোশ্যাল হ্যান্ডেলে দেওয়া একটি পোস্টে বিষয়টি নিয়ে বলেছেন। তিনি বলেন, দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগে ভুগছে। জনসাধারণের মধ্যে একটি প্রচলিত ধারণা হলো ডিম খেলে উচ্চ রক্তচাপ বাড়ে, বিশেষ করে হাঁসের ডিম। অনেকে মনে করেন ডিম খেলে রক্তে কোলেস্টেরল বেড়ে গিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়, তাই হৃদরোগীর জন্য ডিম হারাম। বিষয়টি কিন্তু মোটেও সে রকম নয়। হাই ব্লাডপ্রেশার ও হার্টের রোগীরা প্রতিদিন মুরগি বা হাঁসের ডিম নির্দ্বিধায় খেতে পারেন।
আমাদের শরীরে দুই ধরনের কোলেস্টেরল রয়েছে- একটি খারাপ ও অপরটি ভালো। গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, ডিমের কুসুম বা হলুদ অংশ শরীরে ভালো কোলেস্টেরল বাড়াতে সাহায্য করে। ভালো কোলেস্টেরল হার্টকে অ্যাটাকের ঝুঁকি থেকে রক্ষা করে। তবে দিনে কয়টি ডিম খাওয়া উচিত এটা নিয়েও জনমনে রয়েছে অনেক প্রশ্ন। ডা. লেলিন চৌধুরী জানান, হাই ব্লাডপ্রেশার ও হার্টের রোগীর শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা দরকার। সেজন্য তাকে খাবার ও খাবারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগীরা প্রতিদিন একটি করে হাঁস বা মুরগির ডিম খেতে পারেন।