মেছতা হলে কী করবেন?

মেছতা এক ধরনের চর্মরোগ। এটি হলে মুখ, থুতনি, কপালে ও গালে হালকা বাদামি, কালো বা লালচে ছোপ দেখা যায়। আমাদের ত্বক তিনটি স্তর দিয়ে তৈরি। বাইরের স্তরটি হল এপিডার্মিস, মাঝখানের স্তরটি হল ডার্মিস এবং সবচেয়ে গভীর স্তরটি হল সাবকিউটিস।এপিডার্মিসটিতে মেলানোসাইট নামক কোষ রয়েছে যা মেলানিন নামে পরিচিত একটি গাঢ় রঙ (রঙ্গক) সঞ্চয় করে এবং তৈরি করে। আলো, তাপ, বা অতিবেগুনী বিকিরণের প্রতিক্রিয়ায় বা হরমোনের উদ্দীপনার মাধ্যমে, মেলানোসাইটগুলি আরও মেলানিন তৈরি করে এবং সেই কারণেই ত্বকের রঙ বদলে যায়। 

কেন হয়? 
সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি মেছতা হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ। এছাড়া গর্ভধারণের সময় হরমোনের প্রভাবে অনেক সময় মুখে মেছতা দেখা দিতে পারে। এ জন্য রোগটিকে অনেকে বলেন, ‘মাস্ক অব প্রেগনেন্সি।’ মেনোপজের পর এটি বেশি হতে দেখা যায়, তার পেছনেও হরমোনের কারণই দায়ী। আবার জন্মনিয়ন্ত্রণের ওষুধ খাওয়ার কারণেও অনেক সময় মেছতার সমস্যা দেখা দিতে পারে।

মেছতা হলে কী করবেন?
মেছতা হলে গ্লুটাথিয়ন সমৃদ্ধ ফেসওয়াশ ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়। ট্রানেক্সামিক অ্যাসিড খাওয়ারও পরামর্শ দিই আমরা। এই অ্যাসিড ত্বকে লাগানোর প্রয়োজন হতে পারে। এটা কাজ না করলে হাইডারকুইন ২ শতাংশ বা ৪ শতাংশ ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে এগুলো প্রয়োগ করা নানা বিষয়ের উপর নির্ভর করে। তাই মেছতা হলে একজন বিশেষজ্ঞ দেখিয়ে তারপর চিকিৎসা নেওয়াই শ্রেয়। 

লেখক: ডারমাটোলজিস্ট ও ভেনারোলজিস্ট, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল