অতিরিক্ত ঘাম কমাতে এই ১১ টিপস মেনে চলুন

ঘাম শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের উপায়। ঘাম হলে আর্দ্রতা বাষ্পীভূত হয়ে আমাদের ঠান্ডা করে। ঘাম যদিও শরীর ঠান্ডা করার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়, কিন্তু অতিরিক্ত ঘাম বিড়ম্বনার কারণ হতে পারে। ঘামের কারণে শরীরে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়, নষ্ট হয় পোশাকও। অতিরিক্ত ঘাম পানিশূন্যতার কারণও হয়ে দাঁড়ায়। প্রচণ্ড এই গরমে অতিরিক্ত ঘাম থেকে মুক্তি চাইলে কিছু টিপস মেনে চলতে পারেন। 

  1. শরীরের যেসব স্থানে অতিরিক্ত ঘাম হয় সেসব স্থানে বেবি পাউডার ব্যবহার করুন।
  2. বাতাস চলাচল করতে পারে এমন কাপড় পরুন গরমের দিনে। পোশাকের রঙ হিসেবে হালকা রঙ বেছে নিন। হালকা রঙ সূর্যের তাপ শোষণ করার পরিবর্তে প্রতিফলিত করতে সাহায্য করে, তাই সাদা বা হালকা রঙের পোশাক শরীর ঠান্ডা রাখতে এবং ঘাম কমাতে পারে।
  3. অ্যান্টিপারসপিরেন্ট ব্যবহার করুন ঘুমানোর আগে। এটি কিন্তু ডিওডোরেন্ট নয়। ডিওডোরেন্টের কাজ ঘামের দুর্গন্ধ দূর করা। আর অ্যান্টিপারসপিরেন্টের কাজ হচ্ছে ঘাম বের হয় যে গ্রন্থিগুলো দিয়ে, সেগুলোকে আটকে দেওয়া। অর্থাৎ ঘাম কমাতে সাহায্য করে এটি। এতে গ্রন্থি থেকে উৎপাদিত হয়, কিন্তু পৃষ্ঠে পৌঁছাতে পারে না।
  4. ঘাম কমাতে ব্যবহার করতে পারেন লেবুর রস। বগলে যা যেখানে ঘাম বেশি হয় সেখানে লেবুর টুকরা ঘষে নিন। ঘামের পাশাপাশি দূর হবে ঘামের দুর্গন্ধ।
  5. ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার যেমন দুগ্ধজাত খাবার খান বেশি করে। এছাড়া শাকসবজি, ফল, অলিভ অয়েল, বাদাম, ওটস, গ্রিন টি ও মিষ্টি আলু খান। এসব খাবার ঘাম কমাতে সাহায্য করে। 
  6. প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি খান। পানির পাশাপাশি ফলের রস খান। এতে শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকবে ও ঘাম কম হবে। 
  7. অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইডযুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার করুন। এগুলো ঘাম হওয়া কমাতে সাহায্য করে। 
  8. বাহুমূল পরিষ্কার রাখুন সবসময়। ব্যাকটেরিয়া এবং গন্ধ দূর করতে প্রতিদিন সাবান দিয়ে ধুয়ে নিন অংশটি। অবাঞ্ছিত লোম পরিষ্কার করুন নিয়মিত। ঘাম কম হবে।
  9. অতিরিক্ত ঝাল ও মসলাযুক্ত খাবার খাবেন না। এড়িয়ে চলুন বাড়তি ক্যাফেইন গ্রহণও। এসব খাবার আমাদের ঘাম বাড়ায়। 
  10. গোসল করে সঙ্গে সঙ্গে গায়ে পোশাক চাপাবেন না। স্নান শেষে প্রাকৃতিক বাতাসে শরীর শুকালে তারপর পোশাক পরুন। 
  11. বেকিং সোডা নিন ১/৮ চা চামচ। পরিমাণ মতো পানির সঙ্গে মিশিয়ে তৈরি করুন পেস্ট। এই পেস্ট অতিরিক্ত ঘাম ও ঘামের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি দেবে আপনাকে। এছাড়া বেকিং সোডার সঙ্গে পছন্দের যেকোনও এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন ডিওডরেন্ট হিসেবে।