চুলের গ্রোথ বাড়াতে এই ৫ খাবার রাখুন পাতে

সুস্থ, ঘন এবং উজ্জ্বল চুল কেবল ভালো জেনেটিক্স থাকলেই হবে বা যত্ন করলেই হবে সেটা নয়। খাদ্যাভ্যাসও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এক্ষেত্রে। খাবার আমাদের চুলের শক্তি, উজ্জ্বলতা এবং বৃদ্ধির উপর প্রভাব ফেলে। কিছু খাবার এমন সব পুষ্টিতে ভরপুর যা চুলের ফলিকল শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি চুলের বৃদ্ধি বাড়ায় এবং চুল পড়া কমায়। জেনে নিন কোন কোন খাবার চুলের জন্য উপকারী। 

  1. ডিমে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে, যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চুলের জন্য। কারণ চুলের ফলিকলগুলো বেশিরভাগ প্রোটিন দিয়ে তৈরি। প্রোটিনের অভাব চুল পাতলা করতে পারে এমনকি চুল পড়তেও পারে। ডিমে বায়োটিনও থাকে। এটি একটি বি ভিটামিন যা কেরাটিন উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও, ডিম জিঙ্ক, সেলেনিয়াম এবং অন্যান্য পুষ্টিতে ভরপুর। 
  2. আয়রন, ফোলেট, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি প্রদান করে উপকারী পালং শাক। এসব পুষ্টি উপাদান মাথার ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। আয়রনের ঘাটতি চুল পড়ার সবচেয়ে সাধারণ কারণগুলোর মধ্যে একটি। পালং শাক পর্যাপ্ত আয়রন সরবরাহ করে। এছাড়াও পালং শাকে ভিটামিন সি রয়েছে, যা শরীরকে আরও দক্ষতার সাথে আয়রন শোষণ করতে সাহায্য করে এবং কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে। 
  3. স্যামন, সার্ডিনের মতো ফ্যাটি মাছ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ, যা চুলকে পুষ্টি জোগায়। এসব স্বাস্থ্যকর চর্বি মাথার ত্বকের সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। ওমেগা-৩ ছাড়াও ফ্যাটি মাছ ভিটামিন ডি, প্রোটিন, বি ভিটামিন এবং সেলেনিয়ামের একটি ভালো উৎস। এসব উপাদান শক্তিশালী করে চুল। 
  4. চুল ভালো রাখতে খেতে পারেন নারকেল। স্বাস্থ্যকর চর্বি, বিশেষ করে মাঝারি-চেইন ট্রাইগ্লিসারাইড (MCT) সমৃদ্ধ নারকেল রক্ত ​​সঞ্চালন উন্নত করে এবং চুলের ফলিকলে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে। এটি লরিক অ্যাসিডেও ভরপুর। এটি একটি অনন্য ফ্যাটি অ্যাসিড যা চুলকে ভেতর থেকে শক্তিশালী করে, প্রোটিন ক্ষয় এবং ভাঙন কমায়। এছাড়াও নারকেলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন (যেমন ভিটামিন ই), এবং খনিজ পদার্থ (যেমন আয়রন এবং জিঙ্ক) চুল পাতলা হওয়া রোধ করতে সাহায্য করে। 
  5. বাদাম, আখরোট, চিয়া বীজ এবং তিসির মতো বাদাম এবং বীজ আকারে ছোট কিন্তু পুষ্টিতে শক্তিশালী। এগুলো ভিটামিন ই, জিঙ্ক, সেলেনিয়াম এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ, যা চুলের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন ই একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা চুলের ফলিকলকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করে, যা চুলের বার্ধক্য এবং ক্ষতির কারণ হতে পারে। কুমড়ার বীজ এবং সূর্যমুখী বীজে পাওয়া জিঙ্ক চুলের টিস্যু বৃদ্ধি এবং মেরামতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া