চুলের যত্নে লেবুর খোসা কাজে লাগাবেন যেভাবে

প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ লেবুর খোসা চুল পড়া রোধ করতে পারে। মাথার ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখার পাশাপাশি চুলের বৃদ্ধিকে স্বাভাবিকভাবে এবং কার্যকরভাবে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারে সাইট্রাস লেবুর খোসা।

যেসব পুষ্টি উপাদান মিলবে লেবুরর খোসায় 
লেবুর খোসায় ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফ্ল্যাভোনয়েড সমৃদ্ধ। লেবুর খোসায় অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা মাথার ত্বক থেকে ময়লা, অতিরিক্ত তেল এবং খুশকি দূর করতে সাহায্য করে। মাথার ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য রক্ষা করে এটি। অতিরিক্ত তৈলাক্ততা বা শুষ্কতা রোধ করে ও চুলের ফলিকলের বিকাশের জন্য সঠিক পরিবেশ তৈরি করে। চুল ভাঙা এবং চুল পড়া কমায় উপকারী এই খোসা।

যেভাবে চুলের যত্নে ব্যবহার করবেন লেবুর খোসা 

  • দুটি লেবুর খোসা দুই কাপ পানিতে ১০-১৫ মিনিট ফুটিয়ে নিন। ঠান্ডা হলে ছেঁকে নিন। চুল শ্যাম্পু করার পর এই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে আলতো করে ম্যাসাজ করুন।
  • দই ও লেবুর খোসার মাস্ক বানিয়ে নিতে পারেন। দই চুলের পুষ্টি জোগায় এবং ময়েশ্চারাইজ করে। শুকনা লেবুর খোসা মিহি গুঁড়া করে নিন। ২ টেবিল চামচ লেবুর খোসার গুঁড়া ও ৩ টেবিল চামচ দই একসাথে মিশিয়ে নিন, মাথার ত্বক শুষ্ক হলে কয়েক ফোঁটা নারকেল তেল যোগ করুন।পেস্টটি আপনার মাথার ত্বকে এবং চুলে সমানভাবে লাগান। ৩০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে শ্যাম্পু করে নিন।
  • লেবুর খোসা রোদে বা চুলায় শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিন। এক কাপ নারকেল তেল বা অলিভ অয়েলে মিশিয়ে নিন। একটি কাচের জারে কমপক্ষে এক সপ্তাহ ধরে রেখে দিন, প্রতিদিন ঝাঁকান। এরপর ছেঁকে নিন এবং ঠান্ডা জায়গায় সংরক্ষণ করুন। প্রয়োগ করার আগে তেলটি সামান্য গরম করে নিন। 
  • দুই টেবিল চামচ লেবুর খোসার গুঁড়া, ৩ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেলের সাথে মিশিয়ে নিন। কয়েক ফোঁটা টি ট্রি অয়েল যোগ করুন। মিশ্রণটি মাথার ত্বকে লাগান এবং আলতো করে ম্যাসাজ করুন। ধুয়ে ফেলার আগে ৩০-৪৫ মিনিট রেখে দিন।