হুটহাট বৃষ্টি নামছে এখন। বর্ষার অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে এই সময় অনেকেই বেরিয়ে পড়েন ভ্রমণে। তবে বর্ষায় ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করলে বেশ কিছু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সঙ্গে রাখা জরুরি। নাহলে মাটি হতে পারে ভ্রমণের আনন্দ।
- ছাতা, রেইনকোট সঙ্গে নেবেন অবশ্যই। এতে বৃষ্টিকে সঙ্গী করেই ঘুরতে পারবেন পছন্দের জায়গায়।
- বর্ষার সময় পানিবাহিত রোগের প্রকোপ বেড়ে যায়। এছাড়া সবখানে বিশুদ্ধ পানি পাওয়াও যায় না। তবে দূরের যাত্রায় একসঙ্গে খুব বেশি পরিমাণ পানি নেওয়া সম্ভব নয়। তাই ভ্রমণে গিয়ে বাইরের পানি না খেয়ে মিনারেল ওয়াটার কিনে খেতে পারেন।
- বর্ষায় ঘুরতে গেলে সঙ্গে ওয়াটার প্রুফ ব্যাগ নেবেন। এতে জামাকাপড়, মোবাইল, ক্যামেরা বা ল্যাপটপের মতো জিনিসগুলোকে বৃষ্টির হাত থেকে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব হবে।
- পানিবাহিত রোগের পাশাপাশি এই সময় ঠান্ডা, জ্বর, সর্দি, কাশির মতো ওষুধ দেখা দেয়। তাই জ্বর, ব্যথা কিংবা প্রয়োজনীয় ওষুধ সঙ্গে রাখবেন।
- বর্ষার সময় মশার উৎপাত বেড়ে যায় প্রচণ্ড রকম। এছাড়া পাহাড়ি অঞ্চলে প্রচুর মশা থাকে। মশা তাড়াতে অডোমস লোশন বা স্প্রে রাখতে পারেন সঙ্গে। বিভিন্ন ধরনের রোলঅন বা সুগন্ধিও পাওয়া যায় মশা তাড়ানোর জন্য। রাখতে পারেন এগুলোও। বর্ষায় পাহাড় ও জঙ্গলে গেলে জোঁক তাড়ানোর জন্য লবণ সঙ্গে রাখবেন।
- ওয়াটারপ্রুফ জুতা সঙ্গে রাখা জরুরি। এতে অবিরাম বৃষ্টি হলেও এক টানা পা ভিজিয়ে হাঁটতে হবে না।
- হঠাৎ বৃষ্টি থেকে ফোন কিংবা ক্যামেরা বাঁচাতে অবশ্যই পলিথিন সঙ্গে রাখবেন। এছাড়া ব্যাকপ্যাক ঢেকে রাখার জন্য বড় আকারের পলিথিন নিতে পারেন। পলিথিন থাকলে ভেজা কাপড় আলাদাভাবে নিয়ে রাখতে পারবেন সুটকেসে।
- সুতির মতো ভারী তন্তুর পোশাক বর্ষাকালের উপযোগী নয়। বৃষ্টির সময় এমন পোশাক বেছে নেওয়া উচিত যেগুলো দ্রুত শুকিয়ে যায় বাতাসে। সিল্ক, জর্জেট, লিনেন, ভিসকস, হাফসিল্ক বা শিফনের পোশাক নিয়ে যেতে পারেন এই সময়। খুব হালকা রঙের বদলে গাঢ় রঙকে প্রাধান্য দিন পোশাকের ক্ষেত্রে। এতে ভেজা ভাব বোঝা যাবে না সহজে।
- বছরের এই সময়টায় ঘুরতে গেলে সঙ্গে সিলিকা জেল রাখুন অবশ্যই। অসাবধানতায় মোবাইল ফোন ভিজে গেলে সিলিকা জেলের সঙ্গে ব্যাগে রেখে দিলে সমস্যার সমাধান হবে। পাশাপাশি, ব্যাগে সিলিকা জেল রাখতে পারলে ভ্যাপসা গন্ধের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
- সঙ্গে ছোট জিপলক ব্যাগ রাখুন। হঠাৎ বৃষ্টি আসলে কাজে লাগবে এগুলো।