ফেসবুকে হঠাৎ ব্যালে নিয়ে আসা ইরার গল্প

শাবিপ্রবির অনশনে কাতর মুখগুলো দেখে দেখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের বিষাদে ছাওয়া অবসন্ন চোখগুলো মঙ্গলবার সন্ধ্যা নাগাদ কিছুটা স্বস্তি পেলো যেন। হঠাৎ ভাইরাল জয়িতা আফরিনের তোলা মোবাশ্বিরা কামাল ইরার খোলা আকাশে ভেসে বেড়ানোর ছবি।

কেউ শেয়ার করছেন বিদ্রোহী কবিতা লিখে, কেউ ফ্লাই উইথ সাস্ট বলে। কে এই ইরা? ছবিগুলো যখন ঢাকায় আলো ছড়াচ্ছে, ইরা তখন তার বাড়ি নওগাঁয় বসে মিডিয়া সামলাচ্ছেন।

ইরা এসেছিলেন শিল্পকলার ২০ থেকে ২২ তারিখ অনুষ্ঠিতব্য নৃত্য উৎসবে। ছবিগুলো ২৩ জানুয়ারি তোলা। গতকালই (২৪ জানুয়ারি) বাড়ি ফিরেছেন। নওগাঁ সরকারি কলেজে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইরা পোস্ট দিয়ে লিখেছেন, মাকে ধন্যবাদ যিনি সবসময় আমাকে ব্যালে করতে উৎসাহ যুগিয়েছেন।

ছবির পরিকল্পনা বিষয়ে ইরা জানান, করোনাকালে এই ফর্মটা নিয়ে কাজ করেছিলেন তিনি। ছোট ছোট ভিডিও করে দিতেন। সাগর দেবনাথের সঙ্গে পরিচয় হয়। তিনি ঢাকায় এলে ফটোশুটের কথা বলেন। এরপরই পরিচয় হয় জয়িতা আফরিনের সঙ্গে। তিনি পরিকল্পনা করেন ঢাকার নানা স্থাপনার সামনে ছবি তোলার। তারই অংশ হিসেবে টিএসসিতে তোলা হয় ছবি।

কাজের অনুপ্রেরণার কথা বলতে গিয়ে মা’কেই সব ক্রেডিট দিতে চান ইরা। আমি যতটা না বড়, মায়ের কাছে আমার এই পরিচিতি আরও অনেক বড়।

কিন্তু সবটা কি সহজ ছিল? ইরা বলেন, অনেক প্রতিবন্ধকতা ছিল। বাবা চাইতেন না সবসময়। নাচের অনুষ্ঠানে অনেক রাত হতো, বাবা রাগ করতেন। মা সেগুলো সামলেছেন। ইরার এই হাওয়ায় ভাসার ফর্মটা কী ধরনের শিল্প জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্যালে জিমন্যাস্টিক মিলিয়ে একটা ফর্ম। পুরোপুরি ব্যালেও বলা যাবে না।

নাচ করতে ভালোবাসেন ইরা। শৈশবে নওগাঁয় সুলতান মাহমুদের কাছে শিখেছেন। পরে ঢাকায় ভরতনাট্যম শেখেন। ২০২১ থেকে সাধনা সংগঠনের সঙ্গে কাজ করছেন।

ফটোগ্রাফার জয়িতা আফরিন পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বলেন, আইডিয়াটা আসলে আমার অনেকদিন ধরেই ছিলো যে ঢাকার রাস্তায় ব্যালে নিয়ে কাজ করার। আর এবার টিএসসিতে রাজু ভাস্কর্যের সামনে সাস্টের পরিস্থিতি নিয়ে ব্যানার দেখে মাথায় আসে যে এটা এভাবে এখন করা যেতে পারে। সেটাই করা হয়।