অনলাইনে সম্ভাবনা

বিখ্যাত উদ্যোক্তা বেথেনি ফ্রাঙ্কেল বলেছেন-“তোমার খাদ্যাভ্যাস একটা ব্যাংক একাউন্টের মতো, সেখানে ভালো খাবার হল বুদ্ধিমান বিনিয়োগ।”
বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বিভিন্ন ছোট, মাঝারি উদ্যোক্তা এই আদর্শ অনুসরণ করে সফলতা পেয়েছে। খাবারের ব্যবসা ইদানীং একটি অন্যতম ব্যবসা হিসাবে ধরা হয়। প্রতিযোগিতার বাজারে নামী রেস্টুরেন্টগুলো নিত্য নতুন কৌশল নিয়ে টিকে থাকার চেষ্টা করছে। এমনকি এখন বাসায় খাবার পৌঁছে দেবার সুবিধা প্রদান করছে কেএফসি, পিৎজা হাট-এর মত রেস্তরাগুলো। তারা “ফুড পান্ডা”,“হাংরি নাকি” ইত্যাদি অনলাইন সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে খাবার পৌঁছে দিচ্ছে ভোক্তাদের দ্বারপ্রান্তে। অনেকেই আবার ভোক্তাদের বিনোদনের জন্য বাড়তি সুবিধা দিচ্ছে । সে জন্য ব্যবসায়িরা বেছে নিচ্ছেন খোলা স্থান অথবা আকাশ ছুঁইছুঁই করা ছাদ, সাথে থাকছে সবুজ প্রকৃতির ছোঁয়া- আলো আঁধারির খেলা।। এদের অনলাইন পেইজগুলোর জনপ্রিয়তা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। জীবনকে আরো সহজ করার জন্য এই অনলাইন পেইজগুলোতে খাবারের দাম, উপকরণ এবং বুকিং এর সবিস্তর বর্ণনা দেয়া থাকে। অনলাইন খাবার পেইজ গুলো জমে উঠেছে  বেশ – পুনিজ কিচেন , কেক সেক-এর মত পেইজ গুলো খাবারপ্রেমীদের আকর্ষণের শীর্ষে।শুধু পেট ভরবার জন্য এখন আর খাবার নয়, এটি মন এবং চিন্তাকেও বিমোহিত করতে সাহায্য করে। শুধুমাত্র কোন উৎসবে খাবারের দোকানে ভীড় এখন পুরানো ধারনা। আজকাল ভোক্তাদের আকৃষ্ট করার জন্য নানাবিধ আকর্ষণীয় প্রস্তাব দেয়া হয় বিশেষ উৎসবগুলোতে। যেমন, কাপল প্যাকেজ, ফ্যামিলি প্যাকেজ, বাফেট ইত্যাদি যা স্বল্প ব্যায়ে সুস্বাদু এবং পর্যাপ্ত খাবারের সুবিধা প্রদান করে। বর্তমান সময়ে নতুন ধারা হিসেবে সংযোজিত হয়েছে খাবারের দোকানে সেহেরি করা। এছাড়া ঈদ, পূজা, নতুন বছর উদযাপন ইত্যাদি উৎসবে বিশেষ সুবিধা তো রয়েছেই। খাবারের ব্যবসা শুরু করার জন্য এখন খুব বেশী বিনিয়োগের প্রয়োজন নেই। স্বল্প বিনিয়োগের মাধ্যমে তরুন উদ্যোক্তারা ব্যবসা শুরু করতে পারে। স্বল্প বিনিয়োগে ভ্রাম্যমাণফুড কার্ট, কফি শপ, জুস কার্ট ইত্যাদির ব্যাবসা শুরু করা সম্ভব। সেদিন আর বেশী দূরে নেই যখন এদেশের তরুণ উদ্যোক্তারা খাবারের ব্যবসা থেকে উপার্জিত আয়কে দেশের উন্নতির জন্য বিনিয়োগ করবে।  ভালো মানের খাবার হল মনের সন্তুষ্টি এবং আনন্দ, আর এই খুশির স্বাদ অন্তহীন। দেরি না করে উপভোগ করতে থাকুন এই খুশির স্বাদ।

ছবি: সংগ্রহ