দুই বাহুতে রক্তচাপের পার্থক্য মানেই বিপদ

রক্তচাপ মাপতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রোগীর একটি বাহুই ব্যবহার করতে দেখা যায়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুই বাহুতেই মাপা উচিৎ রক্তচাপ। আর তাতে যদি দুরকম ফল আসে, তবে সতর্ক হতে হবে। বিশেষ করে মারাত্মক হৃদরোগের প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে রক্তচাপের এই পার্থক্য।

সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, দুই বাহুর রক্তচাপের পার্থক্য ৫ পয়েন্ট বা তার বেশি হলেই হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকটা বেড়ে যায়।

ভারতীয় হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ড. জেফরি বারজার বলেন, ‘এটা দুর্ভাগ্যই যে রক্তচাপটা দুই বাহুতে মাপার প্রচলন নেই। তবে আমি মনে করি এটা করা উচিৎ। এটা খুব সাধারণ একটা কাজ।’

স্বাস্থ্যবিদরা আরও জানান, দুই বাহুতে রক্তচাপের পার্থক্যটা প্রাথমিকভাবে অ্যাথেরোস্কেলেরোসিস-এর লক্ষণ। যার মানে হলো ধমনীতে ‘প্লাক’ জমেছে। এই প্লাক তথা রক্তনালীতে জমাট বাঁধার পেছনে চর্বি, কোলেস্টেরল, ক্যালসিয়াম; এসবই দায়ী। আর ধমনীর কোনও জায়গায় এ বাধাটা প্রকট আকার নিয়েছে কিনা সেটা বোঝার সহজ একটা উপায় হলো দুই বাহুর দুই রকম রক্তচাপ দেখতে পাওয়া।

‘হাইপারটেনশন’নামের একটি জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় ৫৪ হাজার লোকের ওপর গবেষণা করে দেখা গেছে দুই বাহুতে রক্তচাপের পার্থক্য প্রতি ১ পয়েন্ট বেড়ে যাওয়া মানে পরবর্তী ১০ বছরের মধ্যে তার হার্ট অ্যাটাকেরও ঝুঁকিও ১ শতাংশ বেড়ে যাওয়া। আর পার্থক্যটা সিস্টোলিক (উপরের দিকের) রক্তচাপের ক্ষেত্রেই বেশি প্রযোজ্য।

গবেষকরা জানালেন, দুই বাহুর রক্তচাপ ঠিক করে ফেলার কোনও সমাধান নেই। কারও ক্ষেত্রে নিয়মিত ব্যায়াম ও স্বাস্থ্যকর খাবারই যথেষ্ট, আবার কারও ক্ষেত্রে প্রয়োজন হতে পারে ওষুধের।

 

সূত্র: ইউপিআই