কলার মোচার যত গুণ

বাঙালি রসনায় বৈচিত্র্যের অভাব নেই। আর এ তালিকায় আছে কলার মোচা। শুধু অনন্য স্বাদ নয়, এর আছে দারুণ কিছু স্বাস্থ্য উপকারও। দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশেই কলার মোচা জনপ্রিয় একটি খাবার। ইংরেজিতে বলে ব্যানানা ফ্লাওয়ার তথা কলার ফুল। এতে আছে ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম।

 

ডায়েটারি ফাইবার

দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় দুই ধরনের ফাইবার সমৃদ্ধ এটি। দ্রবণীয় ফাইবার পানিতে মিশে এক ধরনের জেল তৈরি করে যা আমাদের হজমের পথ দিয়ে সহজে যেতে পারে। যাদের আইবিএস (ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম) সমস্যা আছে তাদের দ্রবণীয় ফাইবার খেতে হয় বেশি। ডায়েটে নিয়মিত এই কলার মোচা রাখলে তারা বেশ উপকার পাবেন। আবার এতে থাকা অদ্রবণীয় ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমাধানও করতে পারে।

 

ডায়াবেটিসেও উপকার

ডায়াবেটিসের সঙ্গে খাবারের পরীক্ষায় বাদ যায়নি কলার ফুল। সায়েন্স অব ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচার জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা গেছে এটি রক্তে চিনির পরিমাণ কমায়। কলার মোচায় থাকা ফেনোলিক অ্যাসিড ও অন্যান্য বায়োঅ্যাকটিভ পদার্থের কারণেই এমন উপকার পাওয়া যাচ্ছে। ইঁদুরের ওপর গবেষণাতেও প্রমাণ হয়েছে বিষয়টি।

 

পিএমএস লক্ষণ

প্রি-মেনস্ট্রল এর লক্ষণগুলো কমাতেও খেতে পারেন কলার মোচা। পিএমএস সিম্পটমের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- পেট ফাঁপা, হজমে সমস্যা, মুড সুইং ও বিষণ্নতা।

 

অ্যান্টি-ডিপ্রেশেন্ট

কলার মোচায় থাকা ম্যাগনেসিয়াম প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ডিপ্রেশেন্টের কাজ করে।

 

ক্যান্সার, হৃদরোগ ও নিউরাল ডিজঅর্ডার

কলার মোচায় থাকা ফেনোলিক অ্যাসিড, ট্যানিন, ফ্লেভানয়েড ও নানা ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের ফ্রি-র‌্যাডিকেল ধ্বংস করে। এতে ক্যান্সার প্রতিরোধের পাশাপাশি হৃৎপিণ্ডও থাকে ঝুঁকিমুক্ত। পাশাপাশি আলঝেইমার্স ও পারকিনসনসের মতো রোগের আশঙ্কাও কমে।