শীতে ঠোঁট নিয়ে যা করবেন না

শীতকালে শরীরটাকে মোটা কাপড়ে ঢেকে নিলেও মুখটা থাকে খোলা। ঠান্ডায় ফেটে যায় ঠোঁট। সুতরাং ভাবতে হবে ঠোঁট নিয়েও।

যা করবেন না

শীতে অনেকে পানি পান কমিয়ে দেন। পানিশূন্যতায় ত্বক খসখসে ও শুষ্ক হয়ে যায়। পানিশূন্যতা থেকেও ত্বক ও ঠোঁট ফাটে। দিনে অন্তত ৭-৮ গ্লাস পানি পান করুন।

ঠোঁট শুষ্ক মনে হলে অনেকেই জিব দিয়ে সেটা ভেজায়। এ কাজ করলে ঠোঁট তো নরম হবেই না, বরং উল্টোটা ঘটবে। লালা ঠোঁটকে দ্রুত শুকিয়ে ফেলে। তাছাড়া আপনার লালায় থাকা খাবার হজমের জন্য যে এনজাইম থাকে সেটাও ঠোঁটে জ্বালাপোড়া ঘটায়।

ঠোঁটের চামড়া কখনও হাত দিয়ে বা দাঁত দিয়ে টেনে তুলতে যাবেন না। এতে কিছু সময় ঠোঁট মসৃণ মনে হলেও পরে ক্ষত হতে পারে ও ফাটা ভাব বেড়ে যাবে।

কর্পুর, মেনথলযুক্ত লিপবাম ও ইউক্যালিপ্টাস অয়েল যুক্ত লিপবাম ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। কারণ এ জাতীয় লিপবাম ঠোঁটের জন্য উপকারী নয়। অয়েন্টমেন্ট যুক্ত লিপবাম ব্যবহার করা উচিত। যা আপনার ফাটা ঠোঁট সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে। কারণ এতে থাকে এসেনসিয়াল অয়েল ও গ্লিসারিন। অবশ্যই সেটা রাতে লাগাবেন। যাতে সারারাত কাজ করার সুযোগ পায়। এ ছাড়া লিপবামটা সানস্ক্রিন যুক্ত হলে ভালো।

ঠোঁট সারানোর ভেষজ

মধু ও গ্লিসারিন একসঙ্গে মিশিয়ে ঠোঁটে লাগিয়ে সারারাত রেখে দিন। পরদিন সকালে ধুয়ে ফেলুন।

তাজা গোলাপ পাতা কাঁচা দুধে দুই-তিন ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। এরপর এটি দিনে দুই-তিনবার ঠোঁটে লাগান।

ব্যবহার করতে পারেন ঘি। ঘি সারারাত ঠোঁটে লাগিয়ে সকালে ধুয়ে ফেলেুন।

অ্যালোভেরাও বেশ ভালো কাজ করে ঠোঁট ফাটা সারাতে।

সূত্র: ওয়েব এমডি