অভিভাবক হারালাম: আসাদ চৌধুরী

সৈয়দ শামসুল হক, ছবি: সাজ্জাদ হোসেন ‘এক কথায় বলতে পারি আমরা অভিভাবক হারালাম। যার লেখা পড়ে, লিখতে মন চাইতো। যার কবিতা পড়ে, কবিতা লেখার প্রেরণা পেতাম, তিনি হলেন শামসুল হক। এমন সৃজনশীল লেখক কমই দেখতে পেয়েছি। শুধু কবিতা নয়,উপন্যাস, গল্প, নাটক, গান সবক্ষেত্রে পারদর্শী ছিলেন তিনি।’ সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের মৃত্যুতে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বাংলা ট্রিবিউনকে এ মন্তব্য করেছেন কবি আসাদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হলো আমার। এমন একজন গুণী মানুষকে হারালাম, যার ক্ষতি কেউ পূরণ করতে পারবে না।’

মৃত্যুও তার লেখার হাতকে থামাতে পারেনি উল্লেখ করে আসাদ চৌধুরী বলেন, ‘নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও তিনি মনোবল হারাননি। তার লেখা বন্ধ হয়নি। তিনি অসুস্থ হওয়ার পরও গান, কবিতা, গল্প লিখে গেছেন। মৃত্যুর ভয় তাকে দমাতে পারেনি।’

আসাদ চৌধুরী আরও বলেন, ‘বাংলা সাহিত্য দারুণ প্রতিভাবান একজন সাহিত্যিককে হারালো। এমন প্রতিভাবান সাহিত্যিকের জন্য বহু যুগ অপেক্ষা করতে হয়। সব মিলিয়ে আমাদের বিরাট ক্ষতি হয়ে গেলো।’

সৈয়দ শামসুল হক ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে মঙ্গলবার বিকাল ৫টা ২৬ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।তার মৃত্যুতে শিল্প-সাহিত্য ও নাট্যাঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

তার মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোক প্রকাশ করেছেন।

দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুসের ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। এ কারণে টানা ৬ মাস লন্ডনে চিকিৎসা নেন। কিন্তু সেখানকার চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, রোগমুক্তির সম্ভাবনা নেই তার। তাকে ৬ মাসের সময়ও বেঁধে দেন তারা। এরপরে ২৫ আগস্ট দেশে ফিরে এসে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি।

আরজে/এপিএইচ/