তিউনেসিয়ার দুটি কবিতা

nonameআবদেলফাতাহ বিন হামৌদা সমকালীন তিউনেসিয়ার গুরুত্বপূর্ণ কবি। কবিতার বই দশটি। বেশ কিছু কবিতা অনূদিত হয়েছে ফরাসি ও স্প্যানিশ ভাষায়। বর্তমানে তিনি তিউনেসিয়ার রাজধানী তিউনিসে বসবাস করেন, চাকুরিসূত্রে আরবি খবরের কাগজ সম্পাদনার সঙ্গে জড়িত।

 

শবযাত্রা

কুসুম-গরম পানি, জলপাই তেলের সাবান

অম্বর আর কর্পূরের পানি মাখিয়ে

গোলাপি কিংবা টকটকে গোলাপ

অথবা কমলা কোনো ফুলের জল

আর নরম কাঁটাওয়ালা সবুজ ফলের চারপাশে

ইউক্যালিপটাস পাতা দিয়ে আমাকে মুড়িয়ে

উষ্ণ তেল মাখিয়ে, চুলগুলো মেহেদিতে রাঙিয়ে

সিল্কের সাদা কাপড়ে জড়িয়ে

ছোট্ট কাঠের কফিনের ভেতর রেখে

পানিয়ে ভাসিয়ে দিও সহজে।

 

এরপর আর কিছু ভেবো না,

শুধু আমাকে বিদ্ধ করা

হাজারও তীরের ফলা থেকে মুক্ত করো।

 

বেদনা

মালীকে একটা প্রশ্ন করলাম

উত্তরে তিনি বললেন, চারাগাছ...সেইই আলো

কাঠুরিয়া একই প্রশ্নের উত্তরে গাছের কথা বলল।

কৃষক বললেন, ফুল...আলো থেকে উৎসারিত শুধু ফুল

কবির কাছে আলো শুধু শব্দ

আর প্রেমিকের চুমুর কথা।

 

এবারে সবার কাছে আরেকটি কথা তুললাম—

ইতর লোকেরা

প্রতিদিন মাথার ওপরে ঝরে পড়া পাতা নিয়ে

আমাকে কোনো মন্তব্য করেনি,

শিহরণ সম্পর্কে কেউ বলেনি একটি কথাও।

এ গাছেরা অন্য পৃথিবীর—

যেখানে অনন্তকালের মসৃণ পাথরেরা চুপ করে ঘুমায়।

এই লোকেরা কী রকমের বোকা?

তাদের কফিন যখন দুলছে

আমার কাঁধের ওপর

তখনো পাতাগুলো

প্রতিটি দিন আমার মাথায় ঝিরঝির করে পড়ছে।

মূল আরবি থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ : মিলেদ ফাইজা, কারেন ম্যাকনাইল