টস করে বুকার জয়

 

0000ম্যান বুকার পুরস্কারকে বিশ্বের অন্যতম প্রধান একটি সাহিত্য পুরস্কার হিসেবে ধরা হয়। সম্প্রতি বুকারের এক তথ্য ভাণ্ডার থেকে প্রকাশিত হওয়া কয়েকটি পুরাতন চিঠির মাধ্যমে পুরস্কারটি সম্পর্কে বেশ কিছু চমকপ্রদ ঘটনা জানা গেছে।

বুকার প্রাইজ ফাউন্ডেশন সম্প্রতি তাদের উনপঞ্চাশ বছরের ইতিহাসে তাদের সাথে সংশ্লিষ্ট উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিদের বেশকিছু আর্কাইভাল সাক্ষাৎকার প্রকাশ করে। এর মাধ্যমে বুকার প্রাইজের সাবেক পরিচালক মার্টিন গফ একটি চমকপ্রদ তথ্য প্রকাশ করেন— একবার নাকি ম্যান বুকার পুরস্কার বিজয়ীর নাম ভাগ্য নির্ধারনী কয়েন টসের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়েছিলো। 

দ্য টাইমস-এর রিপোর্টে বলা হয়েছিলো, সৌভাগ্যক্রমে ১৯৮৬ সালে ‘স্যাভল’ উপন্যাসের জন্য বুকার পুরস্কার বিজয়ী হয়েছিলেন ডেভিড স্টোরি। কিন্তু তিনজন বিচারকের দুইজনই অন্য আরো আরেকটি উপন্যাসকেও সেরা হিসেবে রায় দিয়েছিলেন। যে কারনে, সে বছর বুকার পুরস্কার বিজয়ীর নাম নির্ধারণ করা হয়েছিলো ভাগ্য নির্ধারণী কয়েন টসের মাধ্যমে। এই দুজন বিচারক হলেন, ওয়াল্টার এ্যালেন এবং ফ্রাঙ্কিস কিং। শেষমেশ, টসের মাধ্যমে সে বছর বুকার পুরস্কার জিতে নিয়েছিলো ইংরেজ উপন্যাসিক, কবি এবং সমালোচক কিংসলে আমিসের উপন্যাস ‘দ্য ওল্ড ডেভিলস’। উপন্যাসটি এগিয়ে গেছে একজন জনপ্রিয় লেখকের গ্রামের ফিরে আসার ঘটনাকে কেন্দ্র করে।       

যা হোক, টসের মাধ্যমে বুকার বিজয়ীর নাম ঘোষণার ঘটনা প্রকাশের পাশাপাশি ১৯৬৯ সালে প্রথম বুকার পুরস্কারের বিচারক রেবেকা ওয়েস্টের একটি চিঠিও প্রকাশিত হয়েছে। চিঠিতে সেই সময়কার বিখ্যাত লেখক ম্যালভিন ব্রাগ, জন লি ক্যারি এবং ওয়েন্ডি ওয়েন সহ অনেক লেখকের সমালোচনা করে তাদের নির্বুদ্ধিতা ব্যাখ্যা করেছিলেন ওয়েস্ট।

সে বছর প্রথম পর্যায়ে নির্বাচিত হওয়া বইগুলোকে তেমন একটা আমলেও নেন নি তিনি, এমনকি ব্রাগের “উইদাউট এ সিটি ওয়াল” নিয়ে সমালোচনা করে বলেছিলেন, ‘ব্যাপকভাবে বিস্তারিত লেখা এবং অদ্ভুতরকম হতাশাব্যঞ্জক’। এমনকি, সে বছরের বুকার বিজয়ী পি.এইচ. নিউবাই’র বই “সামথিং টু আনসার ফর”-ও ওয়েস্টের সমালোচনার বাইরে ছিলো না। ওয়েস্ট শুরুই করেছিলেন এই বলে যে “গল্পটা যা নিয়ে তা প্রকাশই করতে পারলো না”।

সবমিলিয়ে সম্প্রতি বুকার পুরস্কার সম্পর্কে প্রকাশিত এই তথ্যগুলো বিশ্বব্যাপী পাঠক ও লেখকদের মধ্যে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

চলতি বছরের ম্যান বুকার প্রাইজের বিজয়ীর নাম ঘোষিত আগামী ১৬ অক্টোবর। ইন্ডিপেন্ডেন্ট