যে বইয়ের শুরু আছে শেষ নেই

je-boiyer-shuru-ache-she-fiবইয়ের সাথে সম্পৃক্ত নয়, এমন মানুষ হয়তো খুব কমই পাওয়া যাবে। তবে কিছু কিছু বই আছে যেগুলো পড়া শুরু করলেও কিন্তু শেষ করা আর হয় না! আবার অনেকের বই কেনার অভ্যাস আছে ঠিকই, কিন্তু পড়ার জন্য নয়, ঘরে সাজিয়ে বা জামিয়ে রাখার জন্য।

যা হোক, আজ এই লেখায় বেশকিছু বইয়ের নাম উল্লেখ করা হবে—যে বইগুলোর অধিকাংশই পাঠক পড়া শুরু করেছেন ঠিকই, কিন্তু শেষ করতে পারেননি অনেকেই। সম্প্রতি দ্য বৃটিশ লাইব্রেরি থেকে প্রকাশিত এলেক্স জনসন তার ‘এ বুক অফ বুক লিস্টস’ বইয়ে বিভিন্ন জরিপের উপর ভিত্তি করে পড়ে শেষ করতে না পারা এমন বেশকিছু বইয়ের তালিকা করেছেন।

‘শেষ না করা’ আর ‘অর্ধেক পড়া’ বইয়ের তালিকায় যে বইগুলোর নাম রয়েছে, তার মধ্যে ১৯৬১ সালে প্রকাশিত জোসেফ হেলারের দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পটভূমিতে লেখা স্যাটায়রিকাল উপন্যাস ‘ক্যাচ-২২’ রয়েছে সবার শীর্ষে। এরপরেই রয়েছে বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া ইংরেজ লেখক জে আর আর টোলকেইন বিখ্যাত সিরিজ ‘দ্য লর্ডস অফ দ্য রিংস’। তালিকায় আরো আছে আইরিশ লেখক জেমস জয়েসের উপন্যাস ‘ইউলিসিস’।

জরিপ বলছে, মার্কিন লেখক হারম্যান মেলভিলের ‘মোবি-ডিক’ও এমনই একটি বই যা খুব কম লোক পড়ে শেষ করতে পেরেছে। ১৮৫১ সালে প্রকাশিত এই বইটি রেনেসাঁ যুগের অন্যতম একটি বই। তালিকায় আরো আছে রাশিয়ান-আমেরিকান লেখিকা আয়েন র‍্যান্ড’র উপন্যাস ‘অ্যাটলাস স্রাগড’। ১৯৫৭ সালে প্রকাশিত সাইন্সফিকশন, রহস্য আর প্রেম নিয়ে গড়ে ওঠা এই উপন্যাসটি র‍্যান্ড’র ৩য় এবং শেষ উপন্যাস।

বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জরিপের উপর ভিত্তি করে ‘এ বুক অফ বুক লিস্টস’-এ এলেক্স জনসন খুব কম শেষ না করা বইয়ের যে তালিকা দিয়েছেন তাতে আরো রয়েছে জে.কে রাইলিং-এর ‘দ্য ক্যাজুয়াল ভ্যাকান্সি’, ই.এল জেমসের ‘ফিফটি শেডস অফ গ্রে’, এলিজাবেথ গিলবার্টের ‘ইট, প্রে, লাভ’, স্টেগ লারসনের ‘দ্য গার্ল উইথ দ্য ড্রাগন ট্যাটু’ এবং গ্রেগরি ম্যাগুয়ারের ‘উইকেড’ এর মত বই। 

তালিকাতে আরো রয়েছে হিলারি ক্লিন্টনের বই ‘হার্ড চয়েস’, থমাস পিকাটের ‘ক্যাপিটাল’, ডেভিড ফস্টার ও্যালসের বই ‘ইনফিনিট জেস্ট’, বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং এর বিখ্যাত বই ‘এ ব্রিফ হিট্রি অফ টাইম’ সহ ড্যানিয়েল কাহানাম্যানের বই ‘থিংকিং, ফাস্ট এন্ড স্লো’-এর মতো বই। ইন্ডিপেনডেন্ট