রয়্যাল সোসাইটি অব লিটারেচার 

পরিচালক ও চেয়ারম্যানের পদত্যাগ

ব্রিটেনের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ সাহিত্য প্রতিষ্ঠান রয়্যাল সোসাইটি অব লিটারেচার (RSL)-এর পরিচালক মলি রোজেনবার্গ ও চেয়ারম্যান দলজিৎ নাগরা পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।

পদত্যাগের পর বাকস্বাধীনতা, সদস্যপদ প্রদানের মানদণ্ড ও নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে লেখকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

২০২২ সালে সালমান রুশদির ওপর হামলার পর তাকে প্রকাশ্যে সমর্থন না দেওয়ায় RSL-এর ভূমিকা নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। সাবেক সভাপতি ডেম মারিনা ওয়ার্নার দাবি করেন, তিনি RSL-এর পক্ষ থেকে রুশদির জন্য সংহতি প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছিলেন, কিন্তু তা নাকচ করে দেওয়া হয়।

লেখক সালমান রুশদি
অন্যদিকে, RSL-এর বর্তমান সভাপতি ও বুকারজয়ী লেখিকা বার্নারডিন এভারিস্তো বলেন, "সংস্থাটি নিরপেক্ষ অবস্থান গ্রহণ করে এবং কোনো বিতর্কে পক্ষ নেয় না।"

কিন্তু সালমান রুশদি এ বক্তব্যের কটাক্ষ করে এক্স (টুইটারে)-এ লেখেন, "রয়্যাল সোসাইটি অব লিটারেচার কি 'হত্যাচেষ্টার' ব্যাপারেও নিরপেক্ষ?"

ইসরায়েল-গাজা প্রসঙ্গে একটি লেখা নিয়েও বিতর্ক ছড়িয়ে পড়লে RSL-এর বার্ষিক ম্যাগাজিন প্রকাশ স্থগিত করা হয়। অনেক সদস্যই দাবি করেছেন, সংস্থাটি ইচ্ছাকৃতভাবে প্রকাশনা আটকে দিয়েছে। তবে RSL এই অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছে, "সম্পাদনা ও ডিজাইনের ত্রুটির কারণে প্রকাশনা বিলম্বিত হয়েছে।"

তাছাড়া RSL-এর নতুন সদস্যপদ প্রদানের প্রক্রিয়া নিয়েও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। লেখক ডন প্যাটারসন অভিযোগ করেন, আগের কঠোর মানদণ্ড অনুসরণ করা হচ্ছে না। আগে সদস্য হতে হলে কমপক্ষে দুটি ব্যতিক্রমী সাহিত্যগুণসম্পন্ন প্রকাশনা থাকতে হতো, কিন্তু এখন তা উপেক্ষা করা হচ্ছে বলে দাবি করা হচ্ছে। লেখিকা আমান্ডা ক্রেইগ মন্তব্য করেছেন, "RSL আর আগের মতো মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠান নেই।" তবে RSL জানিয়েছে, "সদস্য নির্বাচনের নিয়ম অপরিবর্তিত আছে।"

তথ্যসূত্র: ইন্ডিপেন্ডেন্ট