বিশিষ্টজনের প্রতিক্রিয়া

nonameকবি বেলাল চৌধুরীর মৃত্যুতে দেশের বিশিষ্ট লেখকরা শোক প্রকাশ করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। টেলিফোনে তাদের সঙ্গে কথা বলেন অহ নওরোজ। 

আহমদ রফিক : বেলাল চৌধুরীর মৃত্যুর খবর শুনে খুবই খারাপ লাগছে। দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলো, কিন্তু আমার শারীরিক অক্ষমতার কারণে ওকে দেখতে যেতে পারিনি। খুবই মন খারাপ হয়েছে মৃত্যুর সংবাদ শোনার পর থেকে। বেলাল চৌধুরী যখন ১৯৭৪ সালে কলকাতা ছেড়ে ‘সন্ধানী’ পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে ঢাকায় এসেছিলো সে সময়ে তার সাথে আমার খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রায়ই তার পত্রিকায় লিখতাম। সে আমার থেকে বেশ ছোট। ভাবিনি আমার আগে তার যেতে হবে। তার আত্মার শান্তি কামনা করছি। কবি, প্রাবন্ধিক ও গবেষক

আল মাহমুদ : বেলাল আমার থেকে দুই বছরের ছোট। আশা করেছি সুস্থ হয়ে উঠবে, লাইফ সাপোর্ট থেকে কত মানুষ ফিরে আসে। কিন্তু তার ফিরে আসা হলো না। তার কথা মনে করে খারাপ লাগছে। তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। কবি ও কথাশিল্পী

নির্মলেন্দু গুণ : বেলাল ভাই মারা গেছেন একটু আগে শুনলাম। খুবই খারাপ লাগছে। চোখের সামনে একের পর এক স্বজনদের চলে যেতে দেখছি। উনি চলে যাওয়াতে যে ক্ষতি হলো সেটা পূরণ করা সহজ নয়। আমি তার আত্মার শান্তি কামনা করি। কবি

 

কবিতা, গদ্য, অনুবাদ, সম্পাদনা, শিশুসাহিত্য মিলিয়ে বেলাল চৌধুরীর গ্রন্থ সংখ্যা পঞ্চাশের বেশি। সাহিত্যে অবদানের জন্য ২০১৪ সালে একুশে পদক পান তিনি। এছাড়াও পেয়েছেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, নীহাররঞ্জন স্বর্ণপদক, জাতীয় কবিতা পরিষদ পুরস্কারসহ নানা সম্মাননা।