বইমেলার সঙ্গে সবকিছু জড়িয়ে আছে

[কানাডা প্রবাসী সালমা বাণীর জন্ম ঢাকায়, ১৬ ডিসেম্বর ১৯৬২ সালে, ৩২ সেন্ট্রাল রোডে। বাংলা উপন্যাসের নতুন সংযোজন বস্তি জীবনের মহাকাব্যিক আখ্যান ‘ভাঙ্গারি’ প্রকাশিত হয় ২০০৪ সালে। গোলাপী মঞ্জিল উপন্যাস (২০১২) প্রকাশের হবার পরপরই চ্যানেল আই ধারাবাহিক সিরিজ নাটক রূপে প্রচার করে। তার উল্লেখযোগ্য উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে পরিসরের মাপজোখ (২০১৩), ইমিগ্রেশন (২০১৪), যুবক হয়ে ওঠার সময় (২০১৭) ও জলের ওপর টিপসই (২০১৭)। গল্পগ্রন্থ ‘বোবা সময় ও নীল উপাখ্যান’।লেখক জীবনের শুরুতেই ২০০১ সালে ‘কাগজ তরুণ কথাসাহিত্যিক পুরুস্কার’ লাভ করেন। ‘ইমিগ্রেশন’ উপন্যাসের জন্য ২০১৫ সালে লাভ করেন ‘জেমকন সাহিত্য পুরস্কার’। অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২২ উপলক্ষ্যে এই কথাসাহিত্যিকের প্রকাশিতব্য বই নিয়ে কথা বলেছেন মুশফিকুর রহমান।]

প্রশ্ন : অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২২ বইমেলা কেমন চান?
উত্তর : অমিক্রনের প্রভাব যদি না থাকে তবে স্বাভাবিক হবে আশা করছি। আসলে অমর একুশে বইমেলার সঙ্গে সবকিছু জড়িয়ে আছে; আমাদের একুশ জড়িয়ে আছে, আমাদের শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি-অর্থনীতি ওতোপ্রোতভাবে রয়েছে। ইতোমধ্যে অনেকের সঙ্গে কথা হয়েছে, মানুষের মধ্যে ভয় কাজ করছে। এই ভাইরাসটা না ছড়াক, আমি খুব করে চাই।

প্রশ্ন : এ বছর আপনার কি কি বই আসবে? কোন প্রকাশনা থেকে?
উত্তর : কাগজ প্রকাশন থেকে আমার দ্বিতীয় উপন্যাস ‘ভাঙ্গারি’-এর দ্বিতীয় সংস্করণ আসবে, যেটি ২০০৪ সালে বেরিয়েছিল। এছাড়া আমার প্রথম গল্পের বই ‘বোবা সময় ও নীল উপাখ্যান’-এর পর অন্য কোনো প্রকাশনাসংস্থা থেকে আমার দ্বিতীয় গল্পগ্রন্থ ‘শরম’ এবং আরেকটি নতুন উপন্যাস আসবে।

প্রশ্ন : প্রকাশিতব্য বই সম্পর্কে জানতে চাই।
উত্তর : আপাতত এইটুকু বলা যায়, ‘শরম’ গ্রন্থে ১২টি গল্প থাকবে।

প্রশ্ন : অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২১-এর অভিজ্ঞতা কেমন?
উত্তর : আমি অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২১-এ থাকতে পারিনি। যেহেতু কানাডায় থাকি, করোনা পরিস্থিতির জন্য আসার সুযোগ হয়নি। বন্ধুদের থেকে শুনেছি, মেলা হয়েছিল বটে কিন্তু জমেনি এবং এই শিল্পপেশায় জড়িতদের প্রচুর লোকসান গুনতে হয়েছে।

প্রশ্ন : বইমেলার পর আমাদের বই খুঁজে পাওয়া যায় না এবং বইয়ের দোকানও স্বল্প। এই পরিস্থিতিতে বই পাঠকের কাছে পৌঁছাতে আপনার ভাবনা যদি জানাতেন।
উত্তর : মেলার পরেও কিছু বই প্রকাশ হওয়া উচিত। এবং সারাবছরে বই প্রকাশ হওয়া উচিত। পরিকল্পনা করেছি, এই প্রক্রিয়ায় ভবিষ্যতে আমিও যাব। কারণ মেলাকেন্দ্রিক হওয়াতে ওই সময় লেখক, প্রকাশক সবাই ব্যস্ততম সময় পার করেন এবং চাপের মধ্যে থাকেন। ফলে কোনো কোনো প্রকাশক বইয়ের মানের ব্যাপারে শিথিলতার আশ্রয় নিয়ে থাকেন, প্রচার নিয়েও কম ভাবেন এবং যথারীতি বিক্রয় নিয়েও। হয়তো ভেবেই নেন, কয়েকজন জনপ্রিয় লেখকের বই ছাড়া বইমেলা পরবর্তী সময় তেমন আর বিক্রি হবে না।