গত বছরের হতাশা কেটে যাবে

নাসিমা আনিস। লেখক ও ঔপন্যাসিক। জন্ম ১৬ নভেম্বর ১৯৬২ কুমিল্লা, বাংলাদেশ। শিক্ষকতা করেন। প্রথম গ্রন্থ কাগজ প্রকাশন কর্তৃক তরুণ কথাসাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত উপন্যাস ‘মোহিনীর থান’।উপন্যাস ‘চন্দ্রভানুর পিনিস’ দৈনিক সমকাল নবীন কথাসাহিত্য পুরস্কার লাভ করেছেন। তাঁর গল্পগ্রন্থের নাম : পিদিমের হবিষ্যি, কিডনির কারবার, কয়লা নামে কোনো জায়গা নেই, ডুবসাঁতার; উপন্যাস : বৃহন্নলা বৃত্তান্ত, স্বপ্ন আমরা বাঁচবো, জোনাকির আলোয় ঝিলমিল (মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস)। শিশুতোষ উপন্যাস : কুয়াশা কুয়াশা ভোর, সূর্য ওঠার সময়, কাঞ্চনের জন্য ভালোবাসা, সাহসী ছেলের গল্প। অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২২ নিয়ে এই কথাসাহিত্যিকের সঙ্গে কথা বলেন মুশফিকুর রহমান



প্রশ্ন :  অমর একুশে গ্রন্থমেলা কেমন দেখতে চান?
উত্তর : এই মুহূর্তে আসলে মেলা নিয়ে একটু চিন্তিত। যদি অমিক্রন সীমিত থাকে তাহলে একটা সুন্দর মেলা পাব। গত বছরের হতাশা কেটে যাবে প্রকাশক এবং লেখক উভয়ের। আশা করি মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে মেলায় উপস্থিত থাকবে।


প্রশ্ন :  এ বছর আপনার কী কী বই আসবে? কোন প্রকাশনা থেকে?
উত্তর : এ বছর যে সব কাজ করার কথা ছিল তা করে শেষ করতে পারিনি। নির্বাচিত গল্পের কাজ করছি, শেষ হয়নি। দুবছর ধরে ‘কলোনি’ নামে একটা উপন্যাস লিখছি, সেটাও সম্পাদনায় আটকে রয়েছে। বের হবে একটা মাত্র বই, কিশোর উপযোগী গল্পগ্রন্থ, যৌথভাবে হাবিব আনিসুর রহমানের সাথে, প্রকাশ করবে বটেশ্বর বর্ণন।


প্রশ্ন :  প্রকাশিতব্য বই সম্পর্কে জানতে চাই।
 উত্তর : বইয়ের নাম ‘এমেন মানুষ হতে চেয়েছিল’ মোট চারটা গল্প আছে, কিশোর উপযোগী হলেও বড়োদের খারাপ লাগবে না।


প্রশ্ন :  অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২১ এর অভিজ্ঞতা কেমন?
উত্তর : মেলায় গিয়েছিলাম চারদিন। মানুষের উপস্থিতি কম ছিল কিন্তু মেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মানুষের আড্ডা দেয়ার অপূর্ব সুযোগ ভালো লেগেছিল। বেচাকেনা কম ছিল। আশা করি এবার প্রকাশকরা কিছুটা পুষিয়ে নিতে পারবেন।


প্রশ্ন : বইমেলার পর বই খুঁজে পাওয়া যায় না এবং বাইরের দোকানও স্বল্প। এই পরিস্থিতিতে বই পাঠকের কাছে পৌঁছাতে আপনার ভাবনা যদি জানাতেন।
উত্তর : অনলাইনে বই পাওয়া যায়, এটা খুব আশার কথা। আর সারা বছর বই প্রকাশিত হলে পাঠকের পকেটে শুধু এক মাসের জন্য তত চাপ পড়ে না। সারা বছর বই প্রকাশ হওয়া, পাঠক সে সব খুঁজে পেতে কিনে পড়া খুব ভালো একটু অনুশীলন। প্রকাশক-লেখক-পাঠক সবার জন্য এটা ভালো। এখন কিছু কিছু প্রকাশক এটা করছেন।