নিউ ইয়র্ক টাইমস প্রতি বছরের মতো এবারো নির্বাচন করেছে ২০১৭ সালের সেরা দশটি বই। এ তালিকার পাঁটটি বই নিয়ে আমাদের এই আয়োজন।
আলি স্মিথ স্কটিশ লেখক, নাট্যকার এবং সাংবাদিক। তার জন্ম ১৯৬২ সালের ২৪ আগস্ট যুক্তরাজ্যে।
বিশ্বের উদ্বাস্তু সংকট নিয়ে রচিত উপন্যাস সম্পর্কে মহসিন হামিদ বলেন, বিশ্বে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা উদ্বাস্তু—যারা রাষ্ট্রহীন, কেউ কেউ সাহসী—তাদেরই এখানে চিত্রায়িত করা হয়েছে।
অভিবাসন এখন বিশ্বে আলোচনার একটি কেন্দ্রবিন্দু। এর কাহিনি একেবারেই কাল্পনিক এবং অনেকটা ফ্যান্টাসিধর্মী।
মহসিন হামিদ পাকিস্তানি লেখক, ঔপন্যাসিক ও ব্র্যান্ড কনসালটেন্ট। জন্ম ১৯৭১ সালের ২৩ জুন পাকিস্তানের লাহোরে।
উপন্যাসের মূল থিম সম্পর্কে বলা যায়, ইতিহাস ব্যর্থ করেছে, কিন্তু এটা কোনো বিষয় নয়। পরিচয়, স্বদেশভূমি এবং আত্মবিশ্বাসের কেন্দ্রীয় চিন্তাধারাই একটা পরিবারকে বদলে দিতে পারে। বিভিন্ন প্রজন্মের ইচ্ছা, আশা এবং দুঃখ এই উপন্যাসের মূল উপজীব্য।
জাপানের একজন বড় ব্যবসায়ী পিনাবল। পাচিনকো নামে পরিচিত তিনি। কোরিয়া-জাপানে মাল্টিবিলিয়ন ডলারের শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। যা দুই দেশের অভিবাসী পরিবার দ্বারা প্রভাবিত। এই পরিবারের সংগ্রামের গল্প চিত্রায়িত হয়েছে উপন্যাসে।
উপন্যাসটি চলতি বছরের ৭ ফ্রেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। বইটি এ বছর ন্যাশনাল বুক অ্যাওয়ার্ডে (ফিকশন) মনোনীত হয়েছিল।
বর্তমান বিশ্বে ইতিহাস, যুদ্ধ, রাজনীতি নিয়ে চলে অনেক রাজনীতি। এসব রাজনীতির মধ্যেও একজন নারীর সংগ্রামের গল্প চিত্রায়িত হয়েছে উপন্যাসে।
ইংলিশ লেখক নাওমি অ্যালডার্ম। তিনি একাধারে লেখক, ঔপন্যাসিক এবং গেম ডিজাইনার। জন্ম ১৯৭৪ সালে লন্ডনে। তিনি পড়ালেখা করেছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, লিংকন কলেজ, অক্সফোর্ড, পূর্ব এঙ্গেলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, সাউথ হ্যাম্পস্টেড হাইস্কুলে। তার দ্য পাওয়ার উপন্যাসটি ২০১৭ সালে ফিকশন বিভাগে বেলিয়েস ওমেন প্রিইজ বিজয়ী হয়।
একটি শিশুর কাহিনি নিয়ে এটি রচিত। জেসমিন ওয়ার্ড আমেরিকান ঔপন্যাসিক। এছাড়া তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজির শিক্ষক। ১৯৭৭ সালে জন্ম। জেসমিন ওয়ার্ড ২০১১ সালে ‘স্যালভেজ দ্য বোনস’উপন্যাসের জন্য এ পুরস্কার পান।
এছাড়া সেরা দশ বইয়ের ছয় নম্বরে রয়েছে দ্য এভুলেশন অব বিউটি। এটি লিখেছেন রিচার্ড ও প্রাম। সাত নম্বরে রয়েছে গ্রান্ট। এ গ্রন্থটি লিখেছেন রন চেরনো। আট নম্বরে রয়েছে লুকিং আপ আওয়ার ওন : ক্রাইম অ্যান্ড পানিশম্যান্ট ইন ব্লাক আমেরিকা। এটি লিখেছন জ্যামস ফরম্যান জুনিয়র। নয় নম্বরে রয়েছে পেইয়িরি ফায়ারস। এটি লিখেছেন ক্যারোলিন ফ্রেজার। এবং দশ নম্বরে রয়েছে প্রেইস্ট্যাডি। এ গ্রন্থটি লিখেছেন প্যাট্রিসিয়া লকউড।
সূত্র : নিউ ইয়র্ক টাইমস