কাজুও ইশিগুরোর নতুন উপন্যাস ‘ক্লারা অ্যান্ড দ্য সান’

nonameসাহিত্যে নোবেল বিজয়ী ঔপন্যাসিক কাজুও ইশিগুরোর নতুন উপন্যাস প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। উপন্যাসের নাম ‘ক্লারা অ্যান্ড দ্য সান’। ২০১৭ সালে নোবেল পুরস্কার জয়ের পরে এটিই ইশিগুরোর নতুন উপন্যাস।

উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র ক্লারা নামের একটি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। যাকে মানুষের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন বন্ধু হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। ক্লারার অসম্ভব তীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা রয়েছে। সে দোকানে আসা লোকজনকে দেখে এবং আশা করে কেউ একজন তাকে পছন্দ করবে। প্রেম কী—এই প্রশ্নকে ঘিরে উপন্যাসটির কাহিনি আবর্তিত হয়েছে।

প্রকাশনা সংস্থা ফেবারের এডিটরিয়াল ডিরেক্টর এনগাস কারগিলের মতে, ‘ক্লারা অ্যান্ড দ্য সান’ মানব হৃদয় সম্পর্কে লেখা উপন্যাস যা ভিন্ন একটি অবস্থান থেকে এই সময়কে নিয়ে কথা বলতে চায় বা বর্তমানকে ধরতে চায়।

ইশিগুরো তার সাহিত্যকর্মের ভিতর দিয়ে শক্তিশালী কিছু চরিত্র নির্মাণ করেছেন। তিনি বিভিন্ন ধরনের উপন্যাস লিখেছেন। তবে নিজেকে তিনি বিশেষ কোনো রীতিতে ফেলতে আগ্রহী নন। ইশিগুরো মনে করেন বাজারের স্বার্থে উপন্যাসকে বিভিন্ন রীতিতে ভাগ করা হয়। তার উপন্যাসের কাহিনি গড়ে উঠার স্থান নির্বাচন ও পটভূমি সমকালের অন্যান্য বিখ্যাত উপন্যাসিকদের থেকে আলাদা। ইশিগুরোর উপন্যাসকে তাই নির্দিষ্ট কোন ছাঁচে ফেলা যায় না, এবং তিনি সে বিষয়ে আগ্রহীও নন। তবে ইশিগুরোর রচনায় একটি বৈশিষ্ট্য বা প্যাটার্ন লক্ষ করা যায়। সেটি হলো, ব্যক্তি মানুষের স্মৃতিময় অস্তিত্ব। ইশিগুরোর নিজের মতে তার উপন্যাসের বিষয়বস্তু স্মৃতি অথবা স্মৃতি ও বিস্মৃতির উভয়সংকট। ইশিগুরোর রচনার আরও একটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো ব্যক্তির অস্তিত্বের উপরে ক্রিয়াশীল ক্ষমতা-কাঠামো ও কর্তৃত্বপরায়ণ মতাদর্শের প্রভাব সম্পর্কে সচেতন অবস্থান। সুইডিশ একাডেমি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার দেয়ার সময় তাকে এমন একজন লেখক হিসেবে অভিহিত করেছে যার উপন্যাস শক্তিশালী আবেগ দিয়ে চালিত। সুইডিশ একাডেমির মতে, জগতের সঙ্গে সম্পর্কিত হওয়ার ব্যাপারে আমাদের যে বিভ্রান্তিকর ধারণা রয়েছে ইশিগুরোর সাহিত্যকর্ম সেই ধারণার নীচের অতল গহ্বরকে উন্মোচন করেছে।

ইশিগুরোর লেখা আটটি বই মোট পঞ্চাশটি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ‘দ্য রিমেইন্স অব দ্য ডে’ এবং ‘নেভার লেট মি গো’। এই দুটি উপন্যাস অবলম্বনে চলচ্চিত্রও নির্মিত হয়েছে। ‘দ্য রিমেইন্স অব দ্য ডে’ উপন্যাসের জন্য তিনি ১৯৮৯ সালে ম্যান বুকার পুরস্কার লাভ করেন।

‘ক্লারা অ্যান্ড দ্য সান’ ২০২১ সালের ২ মার্চে প্রকাশিত হবে।

দ্য গার্ডিয়ান, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস