আমিনুল ইসলামের কবিতা

noname
আধুনিক দৈত্য


আমি গাছের গোড়ায় জল দিতে পারি

আমাকে কাজে লাগাও

তা না হলে

আমি গাছের ছায়ায় আগুন দেবো

সেটা দাবানল হয়েও উঠতে পারে।

 

কুড়ালের হাসি

চারপাশে কেউ নেই—

কেউ নেই চারপাশে

—এ প্রত্যয়ন

দশজন প্রত্যক্ষদর্শীর।

 

অতএব কুড়ালই হিরো।

আঁটি কাঁধে নিয়ে

ঘরে ফেরা— হুর রে...!

আর দ্যাখো—

কুড়ালের হাসি থেকে

ঝরে পড়ছে

বিবর্তনবাদের আলো!

 

শুয়ে আছে সুন্দর

দ্যাখো—নীলশাদা প্রচ্ছদে ভাঁজ হয়ে শুয়ে আছে সুন্দর

লাল আলো চুমে যায় শাদাকালো চোখ

ভোরের হাওয়া এসে খেলা করে মেঘভাঙা চুলে

দেরি নেই আর, —শিহরিত আবেশে খুলে যাবে নন্দনের ভাঁজ

খুলে যাবে বাসি পরিধান!

যদ্যপি পাহারা শাসিত উঠোন

তথাপি সুরভিত মুগ্ধতায় মাতাল জগতের যাবতীয় পাহারা!

 

আ রে ও বঙ্গোপসাগর, তুমিও তো চেটে খাচ্ছো

উজ্জ্বল এক্সপোজার! খাও, —তবে প্রভাতসূর্যের

দোহাই, —তোমার জিহ্বা নিও না হাঁটুর ওপরে!

ওই সংরক্ষিত সৌন্দর্য শুধু কবির জন্য প্রকল্পিত।

 

সুদখোর রোদের উঠোনে—

দণ্ডপ্রাপ্ত কবিকে প্রেমিক হয়ে বোধিপ্রাপ্ত হতে হয়।