ওই মন পাসওয়ার্ড ভুলে গেছে

noname

আহ্নিক নাকি বার্ষিক গতি

বাইবেল বলল, সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘোরে।
গ্যালিলিও বললেন, পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘোরে। ব্লাসফেমি করলেন। বিচারের মুখোমুখি হলেন।
কিন্তু বিজ্ঞান গ্যালিলিওকে সত্য বলেছিল।
কুরআন বলল, সৌরজগতের সব গ্রহ-নক্ষত্র নির্ধারিত কক্ষপথে ঘুরছে।
জ্যোতির্বিজ্ঞান এটাকেও এখন সত্য বলছে।
ইহুদি প্রবাদ বলছে, পৃথিবী রুটির পিছে ঘোরে।
অর্থনৈতিক বিজ্ঞান এটাকেও সত্য বলছে।
সাঈফ ইবনে রফিক বললেন, আমার পৃথিবীতো আমাকে কেন্দ্র করেই ঘুরছে।
আশ্চর্য হলাম! মনোবিজ্ঞান এটাকেও সত্য বলছে।

 

বিট লবণ

বিট লবণের স্যুপ গিলে খাচ্ছে
অভিজাত কীটপতঙ্গরা। আর আমরা,
যারা প্রোফাইল পিকচারে
শাহবাগী বিপ্লবের ফ্যান্টাসিতে ডুবেছি
নৌকাসহ; তারা বাংলাদেশটাকে
ঢাকার বাইরে নিয়ে যেতে পারছি না।
আয়োডিনের যাদুতে যখন
তোমার-আমার মাথা খুলে দিচ্ছে লবণ,
তখন বাংলাদেশটাকে নুনের মতো ভালোবাসছে
কোনো এক অভিজাত রাজকুমারী।
নুন আনতে পান্তা ফুরানোর দেশে
বিট লবণের মতো ভালোবাসা!

 

পাসওয়ার্ড

ঠোঁটের ছাপে রেজিস্ট্রেশন
করে ফেলেছি মন।
বায়োমেট্রিক মোহে খুলে যাচ্ছে
দেহের সব তালা।
ওই দেহে নিবন্ধনের যাদু—
ওই মন পাসওয়ার্ড ভুলে গেছে।
তবুও লগ ইন যাবজ্জীবন,
দেহমন হেলেদুলে ডাটা ক্যাবলের মধ্যে ঢুকে পড়ে।

 

বিজ্ঞাপন

ডিএনএ টেস্ট বলছে, চাঁদ পৃথিবীর সন্তান। 
রেটিনায়ও আছে বায়োমেট্রিক নদী;
যখন আঙুল ফুলে কলাগাছ—
এক পায়ে দাঁড়ানো একা তালগাছের সঙ্গী 
গ্রামীণফোনের গ্রিনফিল্ড টাওয়ার!
তখনও ইনটেলিজেন্ট নেটওয়ার্কে 
সম্পর্কগুলো সম্পূর্ণ ভেঙে যায়।

বিলবোর্ডে ঝুলছে বিজ্ঞাপনী থ্রিজি চাঁদ।

 

সুইসাইড নোট

মাথার ভেতরে ঘোরে সুইসাইড পোকা
হত্যাকারী সমাজ বলছে, তুই বোকা।
তুই মরস না ক্যান, এই কথা যারা বলেছিল—
তারাই এখন বলছে, আত্মহত্যা মহাপাপ।
তুই সাইকো
তোর মতো হাদারাম দুনিয়ায় নাইকো। 
ধর্মও বলছে, আত্মার মালিকানা তোর নয়
যদিও এটা ভরণপোষণের দায়িত্ব 
তোর একারই ছিল।
আমি জানি, সোসাইটি হত্যার চেয়ে
আত্মহত্যাই ভালো। ব্যক্তিগত অধিকার—
স্কেপিস্ট আত্মকামীর আত্মহত্যায় অনেক সাহসের দরকার।