না বিষ, না বাঁশি, কিছুই এলো না

noname

প্রস্তর-খণ্ড

পড়ে আছে প্রস্তর-খণ্ড, স্থির অপরিবর্তনীয়,

পৃথিবী নড়ছে রাত দিনের আবর্তে

ঋতুচক্রের ঘূর্ণনে প্রতিনিয়ত

বদলে যায় বনভূমির অবয়ব।

 

শূন্যের কিনারে যে দিগন্ত আছে

সেখানেও শেষ প্রহরের কৃষ্ণচূড়া,

মেঘ রাখে বিষণ্ন কাজল-প্রলেপ।

 

আলোতে আলোতে রেষারেষি

ছায়া রোদ গোধূলি, আরও কত কি!

অন্ধকারে জ্যোৎস্না বিপ্লবী বেশে।

 

অথচ এখানে একটি প্রস্তর-খণ্ড

স্থির অপরিবর্তনীয়।

 

ফেরা

নিজের কাছে ফিরে আসে নিষিক্ত পাখি

আলগোছে খসে পড়ে

পালকের শিশির।

 

যত ছিলো ভুল বেদনা, অথবা

দিগন্তের রক্তিম প্রত্যাখ্যান,

যতখানি দূর থেকে ফিরে এসেছিলো

ব্যর্থতার অমোঘ আহ্বানে,

সবকিছু লুকিয়ে রাখে মাংসল ডানায়।

 

নিজের কাছে ফেরা পাখি

নৈঃশব্দ্যে মুছে দেয় পাঁজরের তৃষ্ণা।

 

বিরহ

দীর্ঘ অপেক্ষা দীর্ঘ দীঘল দৃষ্টি

অব্যক্ত যন্ত্রণা ব্যক্ত হবার তাড়নায়

অদৃশ্য আকুতি।

না জ্যোৎস্না, না অমানিশা

না বিষ, না বাঁশি, কিছুই এলো না।

 

বুকের ভেতর উন্মত্ত আলোড়ন

বেদনার নীল ঢেউয়ে পাড় ভাঙে, পাড় ভাঙে

অরণ্যের মেঘ অরণ্যেই নোঙর ফেলে

ফাঁকা ময়দান তৃষ্ণারা ঘুরেফেরে

না জল, না কণ্ঠফাটা মরু খরা

না ঝড়, না বৃষ্টি কিছুই এলো না,

 

আহ বিরহ! বড় ভালো লাগে।