পাঁচটি কবিতা

noname

আলো উদ্ধারে এসো

তুমি ছুঁলে,

ছুঁয়ে ফেলে দিলে প্রতিমা

বিসর্জনই তো সত্য

তাই পূজিত হতে ভয় করে খুব

গায়ের খড়ে ঢেকে থাকে উল্কি

তুমি নেমে যাও নিচে

আমি গ্লাস ধরে ঝরনা দেখি পৃথিবীর

কে তুমি প্রিয় বা অপ্রিয়

কখনো জানবে না, আমি কে?

বোধনই তো সত্য

তুমি ছুঁয়ে টেনে নিলে কাঠামো

বিসর্জিত হতে আর ভয় লাগে না একটুও—

 

আঙুলে আঙুল বাঁধো

খড়ে বাঁধো ঘর

মাটিতে লাগাও চারা

আমি পূর্ণিমা বুঝে

হাঁড়িতে বসাবো চাল,

ওসব ভাতে কামনা মাখা থাকে—

রাতের আলো দেখে যে পাখির

ঘুম উড়ে গেছে, তারা আর আসে না

খেতে ভাত, উপচে পড়ে ফেনা

ফেনা দেখে তুমি সন্দেহ করো আমায়

 

বিছানা জানে কোন কোন দেহে থাকে প্রেম!

সে জানে কতখানি জড়ালে

অন্তঃক্ষরা প্রেমের হয়!

বিছানার ফুল, ফল, বাতাসা, মদ

তোমাকে দিয়েছেন ঈশ্বর,

তুমি মাছ ধরে এসো

জাল পেতে রেখো বিছানায়

শুধু জেনে রেখো, প্রেম উড়ে গেলে

বিছানা ছিঁড়ে যায় অযথা আদরে

 

নদীতে ভেসেছে মেয়ের পেট

পেটভর্তি শীতল ডিম

ডিম ধরে ধরে মেয়ে তটে এসে বসে

তটে ঝিঁঝিঁ ডাকে

কুয়াশায় দৌড়ে আসে কালো কুকুর

কুকুর ও মেয়েটি মুখোমুখি তাকায়

কুকুর ডেকে ওঠে

মেয়েটি মালা গেঁথে কুকুরকে পরায়

 

ঘাস পেরিয়ে এসে দেখি

তুমি নৌকোতে কুপির আলোয় কেটেছ মুরগী

রক্তে ভরেছে হাত, মধ্যরাতে রক্ত হবে ঝোল

দেশে বিদেশে মাংস খেয়েছি খুব—

তবু এই চাঁদনি রাতে রক্তমাখা হাতে

তোমাকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ খুনি মনে হয় যেন

ভক্ষক আমি, তবু তোমাকে সন্দেহ করি

ভক্ষক আমি, তবু তোমাকে হিংসে করি

এভাবে বাড়ে প্রেম, রক্তমাখা প্রেম

খুনির প্রেমে পড়া সে কতজন্মের প্রিয় স্বপ্ন—