করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে স্পেনের একটি হাসপাতালে গতকাল মারা গেছেন সমকালীন চিলির বিখ্যাত লেখক লুইস সেপুলবেদা।
সেপুলবেদা ১৯৪৯ সালের ৪ অক্টোবর চিলির লিমারি প্রদেশের ওভালিতে জন্মগ্রহণ করেন। কবিতা দিয়ে লেখকজীবনের শুরু হলেও কথাসাহিত্যে সুনাম কুড়িয়েছেন সবথেকে বেশি। ১৯৮৯ সালে প্রকাশিত উপন্যাস ‘উন বিয়েহো কে লেইয়া নোবেলাস দে আমোর’ বা ‘যে বৃদ্ধ প্রেমের গল্প পড়ত’ প্রকাশের পর পৃথিবীব্যাপী প্রচুর খ্যাতি অর্জন করেন।
সেরা প্রেমের কাহিনি
তোমার বিদায়কালে শেষ চিরকুটে
বলেছিলাম : কিছুই জানা নেই,
ব্যাপারগুলো বুঝতে আরও সময় দরকার।
নিরন্তর পাথরের ভেতর থেকে থেকে
শিখেছি—
যোগ হওয়া মানেই যুক্ত,
আর বিয়োগ মানেই সবাইকে ছেড়ে
শূন্যতায় একাকি হয়ে পড়া।
বর্ণিল রঙেরা বিম্বিত হয় কেবল অপরাধহীন চোখে।
গান এবং সূর্যালোক
বাড়িয়ে দেয় শোনার আকাঙ্ক্ষা।
পথ আর ধুলাবালি থাকে প্রতিটি পদক্ষপের গোপনে।
দুটো বিন্দুর ভেতর কম পথে
ভ্রমণের সবচেয়ে সহজ উপায় হলো
বিশাল আয়োতনে তাদেরকে আটকে ফেলা।
হতে পারে তারা ভিভালদির সুরের মতো
হতে পারে তারা ইহুদিদের কেউ,
পড়ে আছে বিশুদ্ধ ওয়াইনের তলানিতে।
একদিন তুমি এসব জেনে যাবে।
আর আমি যাবো তোমার ফিরে যাওয়ার প্রতিটি প্রতিধ্বনিতে।
সেখানে কেঁপে কেঁপে একটি অনন্য প্রেমের গল্প লিখবো।
যদিও প্রবাদ বলে, শেখার কোনো শেষ নেই।
যেনবা সে কারণেই আবার
যত সহজে গোলাপ ফোটে
তত সহজেই নক্ষত্র হারিয়ে ফ্যালে আলো।
জানি, আমার কাজ ছিলো কেবল লেখা।
সুন্দর প্রেমের গল্পগুলো শুধু তুমিই,
গোলমেলে চোখের নির্মেঘ ক্যালিওগ্রাফি।
[দীর্ঘ নির্বাসিত জীবন কাটানোর পর সেপুলবেদা লাইনগুলোর মধ্য দিয়ে এমন একটি প্রেমের কথা বলেছিলেন যে প্রেম কখনো পথ হারায়নি, যে প্রেম হাজারো সংকট অতিক্রম করে অনেগুলো আক্ষেপ নিয়েও বেঁচে ছিলো। এই কবিতাটি সেপুলবেদা তার স্ত্রী কারমেনকে উৎসর্গ করেছিলেন। কবিতাটির মূল শিরোনাম ‘লা মাস বেইয়া ইস্তোরিয়া দে আমোস’। এটি লুইস সেপুলবেদার ‘পোয়েমস উইদাউট হোমল্যান্ড’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত]