দুইটি কবিতা

ইউ ইয়ংকুক-এর চিত্রকর্ম অবলম্বনে

অপেক্ষার মিছিল

অপেক্ষা শব্দটি তৈরি করে আর একটি অপেক্ষা

অনেকটা আলোর কাছে শুয়ে থাকা অন্ধকার।

 

মেঘ ও বৃষ্টির গল্প কখনো সত্য হয় না

আমরা শুধু ভিজতে থাকি

ভিতর থেকে অনেকটা বাহিরে।

 

তুমি সমস্ত বুকের রোদ দিয়ে

আমার এক টুকরো মেঘকে

দখল করতে চেয়েছিলে

কিন্তু এই নিঃস্ব আঙুল ছুঁয়ে দেখেছে

মৃত্যুর অন্ধচোখ—

 

কবিতার কাছে মানুষের মিছিল

ডুবে যায় গতকালের গোধূলির ভিতর

 

শূন্য দিন শূন্য রাত

যোগ হয়ে যায় একটি বড় শূন্যের সাথে

গোপনে গোপনে মানুষ দূরে চলে যায়

আরও একটি মানুষকে একা করে।

 

মোটা চালের খই

এবার যদি ফিরে যাই

দৌড় দিয়ে ফিরে যাবো—

প্রথমেই শিখে নেবো

ভালো করে কৃষিকাজ।

 

মাস্টারমশাইকে বিনীতভাবে বলবো

অনেক তো হলো, এবার বই বন্ধ করুন

দাশের পুকুরের মাঝে ছুড়ে ফেলে দেবো

বিদেশি কোম্পানির তৈরি দামি হাতঘড়ি—

চাঁদ আর সূর্যের কাছ থেকে শিখে নেবো

সময় গণনার প্রাচীন সূত্র।

 

বিদেশি সাহেবের কাছ থেকে নয়,

কৃষকের কাছ থেকে ভিক্ষে করে

জোগাড় করে নেবো দু’বেলা

দু’মুঠো মোটা চালের শাদা ভাত।

 

পুরনো জমানো দশ টাকার নোট থেকে

খুঁজে নেবো প্রাক্তন প্রেমিকার

                           গোপন টেলিফোন নম্বর।

 

ফেসবুকে আর মানুষকে নয়

গাছকে পাঠাবো বন্ধুত্বের আহ্বান

ভদ্রলোক ও ভদ্রমহিলাগণ এবং আমার সুন্দরী প্রেমিকা

অনেক তো হলো মানুষের সাথে কাটানো জীবন

এবার পশুপাখি ও বৃক্ষের সাথে কাটাবো

                             বোনাস জীবনের বাকিটা সময়।