রবিউল মামুন-এর দুটি কবিতা

মুরুগান

কাকেদের সর্দার মুরুগান বলল—
দেখলি কিভাবে শান্তির পায়রাগুলিকে উড়িয়ে দিলাম।
কাকেদের দলের সবচেয়ে ছোট্ট সদস্য বলল—
কিন্তু ওরা তো আমাদের কোনো ক্ষতি করেনি।
মুরুগান বলে—ওদের শান্ত বাক-বাকুম আমার সহ্য হয় না,
মুরুগান, মুরুগান শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠল প্রাঙ্গন।
নিঃসঙ্গ, নিশ্চুপ থাকল সেই ছোট্ট সদস্য—যার নাম ছিল প্রমাণ!


পালিয়ে বাঁচি

সেদিন রবীন্দ্র সরোবরে গিয়েছিলাম—
এত পায়ের ছাপের মধ্যে
আমি ঠিকই তোমার পায়ের ছাপকে আলাদা করতে পেরেছিলাম।

শুনলে অবাক হবে, তোমার পায়ের ছাপগুলো আমার সাথে তাল মিলিয়ে হাঁটছিল।

আমি মানা করেছিলাম, মানুষটি যখন নেই তবে তোমার কেন আসা; পায়ের ছাপ কিছু বলল না অন্যদিকে চলে গেল।

চাওয়ালার কাছে চা চাইলাম হঠাৎ ওয়ান টাইম ইউজার গ্লাসটা বলে উঠল, তুমি করছ কি আপার সব লিপস্টিকের রং যে উঠে গেল
আমি বললাম কোন আপা গ্লাসটা বলল, সেকি তুমি চিনতে পারছ না।

মনে হচ্ছে দৌড়ে পালিয়ে যায়
পায়ের নিচে একটা বাদামের খোসা চিৎকার করে বলল, তুমি আমাকে পিষে মারতে চাচ্ছ।

তুমি বিশ্বাস করবে না আমি অবাক হয়ে গেলাম
জিজ্ঞাসা করলাম, তুমি কে?
আপামণি কত যত্ন আদর দিয়ে আমাকে টুস করে
ভাঙত, মনে নাই তোমার।

না আমার কিছুই মনে নাই
ওগুলো মনে থাকতে নাই।