সান্ধ্য আলোর নিচে

সান্ধ্য আলোর নিচে

একটি পা আরেকটি পাকে ঘষেই চলেছে
একটি হাত আরেকটি হাতের নাগাল পাচ্ছে না
পাখিদের সঙ্গমদৃশ্য চোখে লেগে আছে
আমার ভাগের মাছ খেয়ে গেছে কোন বেড়ালে
শিরশিরে ধানের ধ্বনিতে কাকতাড়ুয়া হাসে
বিহ্বল সান্ধ্য আলোর নিচে, সাঁকোটা দুলছে...

 
সুপ্ত জোয়ার-ভাটায়
 
জীবনও এক নদী, ভাঙাগড়া জিয়নকাঠির গুপ্ত সমাধি
নিশ্বাসের ছাউনি পেরিয়ে নত-নীল ফুলের কাছে
একা একা বুকের পাথর নামিয়ে গেছে এক লোক
যেন এক অগ্নিঢেউ সব পুড়িয়ে অঙ্গার করেছে
চরাচরের দীর্ঘশ্বাস ছাপিয়ে নবপ্রাণের উন্মীলনে
সুপ্ত জোয়ার-ভাটায় বয়ে গেছে এই জীবনের নদী...

 
উড়ন্ত প্রহেলিকা
 
যে বাড়িতে ছিলাম সেখানে একটি ডুমুরগাছ ছিল
এখন যে বাড়িতে থাকি সেখানেও ডুমুরগাছ আছে
ফল পাকে, ঝরে যায়, সেই ফল ধরে না কখনো
পাতা ঝরে, পচে যায়, মাটিগর্ভে চলে যায় সেও
দুই বাড়ির সাদৃশ্যে ডুবে যায় উড়ন্ত প্রহেলিকা
ছায়ামর্মরিত রাত্রির গভীর কোনো অন্ধকারে।