খোঁপায় গমখেতের মায়া

নুন

এভাবেই নুন লিখি, নুন সাবানের কথা লিখি
মৃত্যু আসলে বলখেলার মাঠ। রাস্তা খুঁজে পাচ্ছ না 
                                                       তুমি
এভাবেই গ্রামদেশে, কাত হয়ে পড়ে থাকা রেডিয়ো

 

ম্যাজিক

ভাঙা হাটে গান বাজলে ফিরে আসে ম্যাজিক
সেই জোড়া মহিষ।
অনন্তের সব মানুষজন।
পথে পথে পর্যটক পেতে রাখে ফাঁদ

 

বরফকল

যেখানেই যাও তোমাকে স্বাগত জানাবে দু-চারটে ইঁদুর। বরফকল থেকে ফিরে এসে তুমি দেখতে পাবে
নদীর ওপর দীর্ঘতম এক সেতু। সেজে ওঠা
হলঘরে তুমি শুরু করবে নূতন এক ইনিংস।

 

মহড়াকক্ষ

হাওয়া বাতাসের এই মহড়াকক্ষে স্থির হয়ে থাকে সময়। ছেঁড়া মাদুরের পাশে বসে থাকা বেড়ালের 
থাবায় আরশোলা ধরা থাকলেও দৃশ্য থেকে বেরিয়ে
আসে নূতন দৃশ্য, যেখানে ভরা শ্রাবণের মেঘের বিস্তার

 

মিছিল

ভাঙা হাটে যখন মিছিল ঢোকে তখন চরাচরজুড়ে বৃষ্টি।
এলিজি লিখতে গিয়ে কলমের কালি ফুরিয়ে যায়।
ফুরিয়ে  যাওয়া বিকেল যে আলো রেখে যায়
সেই আলোয় আমরা লিখতে শুরু করি ইতিহাস

 

কলোনি

কলোনির রাস্তায় বাঘ ডেকেছিল
কলোনির রাস্তায় ছিটকে এসেছিল হরিণ
এসব গল্পের আশ্চর্য এক জাদু থাকে
কলোনির রাস্তায় নদী ঢুকে পড়ে

 

ম্যাজিক

নাচ থামিয়ে দেওয়া সেই ম্যাজিশিয়ান
একদিন চুপিচুপি চলে আসেন গানবাজনার দেশে
সারারাত জোকারের হাসি
সারারাত ট্রাপিজের খেলা

 

খোঁপা

তোমার খোঁপায় আমি গমখেতের মায়া দেখতে পাই
খোঁপা থেকে খসে পড়েন হাসন রাজা।
নদীর বাঁকে বাঁকে রেখে আসো খোঁপা বাঁধবার গান
তোমার খোঁপার দিকে তাকিয়ে থাকে শান্ত বেড়াল

 

গান

উচ্চারণ ভেঙে যায় এভাবেই!
প্রথা কিন্তু সংস্কারের টানে ভেসে যায়।
মাটির ওপর ছড়ানো সূত্রগুলি
নিয়ে যায় খুব হাওয়ার গহিনে
এভাবে কি যথার্থ ভূগোল লেখা 
                                         যায়!
আমি তুলে আনি প্রাচীন বন্দরের হাঁস
চারণ কবিরা আসছেন দুরান্তরের হাহাকার
                                                  নিয়ে