দুলে ওঠে ঘর না কারবালা

ঝড়

হাওয়াদের রিহার্সাল শেষে ঝড় এলো গোধূলির ছাদে। 
মাড় দেওয়া শাড়ি পালের ছদ্মবেশ।
কেরায়া যাবে যেন দূর কোনো দ্যাশ। 
পতপত করে উড়ছে বলপ্রিন্ট কামিজ। 
পাজামা-পা কাঁত হয়ে ঝুলছে নাইলনে। 
শাড়ির অন্তরালে অন্তর্বাস 
ক্লিপভেদ করে জেগে উঠেছে সূর্যের মতন।
পায়ে পায়ে বাকি কাপড় চলে গেছে স্ব স্ব ঘরে।
ঝড়ের উৎপত্তিস্থল জানে ঠকে যাওয়া মানুষ।


ভাসমান 

চোখ মেললে চুমু খায় হাওয়া 
দুলে ওঠে ঘর না কারবালা? 
পাটাতন বহরে রক্ত... চিৎকার...
কোন গাঙে জাল ফেলে আমায় পেয়েছিলে সরদার? 
হাবুডুবু এক শৈশবজুড়ে
প্রকৃতি শেখায় সহজাত সাঁতার।
দাঁড় বেয়ে উপকূল ধরে এগোই যত
পাঠশালায় বুকে হেঁটে যায় একপাল শুশুক।
রাত্রিকালে চাঁদ এসে ঢুকে পড়ে ছইয়ের ভেতর।
দু-দশটা মাছের দিব্যিতে নাউ দিয়াছে মহাজনে
বশিরের মেয়েটাকে পেতে চেয়েছে ঝড়োয়া এক হাউস।
সাপঝাঁপি রেখে পাশে 
গলুইয়ে ভাত রাঁধতে বসে যাবে সে—এমন সহজ।
সিংগায় বিষ-ব্যথা নামিয়ে ঠিক একদিন বড়ো বাইদানি হবে আমার মেয়ে।