জীবন এ পুরুষের, মৌমাছি সে

হিপহপ 

চমৎকার ভূগোল তুমি মিরপুর রোড ধরে গত হওয়া
প্রজাপতি বাস। আর কামারপাড়া পরিমাণ আকাশে
ওড়ার সারবস্তু অর্ধেকটা রঙ পাখনার। পেখমে যার
বেড়ালের ওম মাখোমাখো আঁতাত আছে : আমাকে
বলবে না। কোনোদিন আমার না যাওয়া হলেও যেখানে
আমার নামে কেউ কেউ থাকে বলে সন্দেহ করি—
কখনও প্রবল ঝকমারির কবলে তোমার যেকোনো
পতন থেকে তাকে ডাকলে আমি শুনবো কী শুনবো না
সে ব্যাপারে বেশকিছু উচ্চারণ থাকলো ইসিবি চত্ত্বরে :
যেখানে হিপহপরত ফেইক ট্যাঙ্কের ব্যপক শরীরজুড়ে—
জিন–মিশেল বাস্কিয়াট একেবারে চোখের মুখোমুখি!


আবির আবরাজ 

জীবন এ পুরুষের, মৌমাছি সে
ফুলেদের কাছে যায়—মধুলোভে নয়, কেবলই ঘ্রাণ নিয়ে ফিরে আসে
বলা যায় কোনো প্রপঞ্চনাময় আতর কারিগরের হাতে আবির্ভূত ফ্লুইড
স্বল্পকাল আচ্ছন্নতা দেয়, পরে হাওয়ার সহপাঠ ধরে 

প্রথমত রঙ, সামান্য উজ্জ্বলতার তবু মনোরম 
আবার যেনো দিন আর রাত, হতে পারে সিনেম্যাটিক পুষ্পের মতো কাছাকাছি এলে
সাক্ষ্য রাখে নক্ষত্রের আশেপাশে এই ঘটনার, সান্ধ্য বাতাসে

চোখ নয়, সুন্দরই চোখকে দেখে
এমন সুন্দরতা ধরে রাখে, তা নামের অর্থ কেবল 
জীবন সজাগ শুয়ে আছে রূঢ়তার পাশে

লোকটা মরে যাবে কিছুক্ষণ পর, চাঁদের চাঁদোয়াতলে আজ
মা তার ডেকেছিলো আবির বলে, পিতা আবরাজ 


তারকা-মদিরা

খুঁটিগুলি বিদ্যুতের। পথের পাশে দাঁড়ায়ে আছে, দায়িত্বশীলা। যেনো, পথও হারায়ে ফেলে পথ—সম্ভাবনা থাকে। ফলে থাকা লাগে এভাবেই, হারানো পথকে আরও অনেক পথ দেখাবার তরে। আঙুল ধরে বা ছেড়ে, কাছাকাছি থেকে, পাশ-হেঁটে যেতে হয় অন্য শহরে। 
দায়, ধরা যাক বিরহ। কেবলই বাড়ে। ফলে রাত হলে, আকাশ-মাথায়; দাঁড়ায়ে থাকা বৃক্ষের রূপক, হয়ে যাওয়া ক্রমে। থোকা থোকা তারাগুলি ঝুলে আছে ফল। কেউ এলে, নাড়া দিলে এই খুঁটি ধরে। ঝরে যাবে যেনো বা হিন্দুমেয়ের জল।
পরবর্তী সকালে বৃক্ষতলে কোন্দলরত দেখা যাবে তারকা-মদিরায় আচ্ছন্ন অনেক তরুণী, ওরা আদতে সাকী। কেউ কেউ কুড়ানো শেষ, চলে গেছে ছলে। কারো কারো এই ফল কুড়াবার তিয়াসা আছে এখনো বাকি।
তবে, কোচড়ায় ভরে নিয়ে দ্রুতই বাড়ি ফিরতে হবে। যুবতী সে, এখনো নয় পুরোপুরি। বাল্যবিবাহ হবে তার আগওয়ান উৎসবে।